Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • ৩ ঘন্টা আগে

জনবল সংকটে সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদানে ধীরগতি

জনবল সংকটে সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদানে ধীরগতি

তিস্তা আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ►

জনবল সংকটে এখনও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স টিকাদানে ধীরগতি। শঙ্কায় রয়েছেন পশু মালিক ও খামারিরা। সোমবার (২০ অক্টোবর) পর্যন্ত ৪৮ হাজার পশুকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। নতুন করে পশু আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়নি দাবি উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০ অক্টোবর পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ২৪ জন। তবে স্থানীয়দের দাবি মানুষ ও গবাদি পশু আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্য আরও বেশি রয়েছে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভায় গরু, ছাগল ও ভেড়াসহ মোট গবাদি পশুর সংখ্যা ২ লাখ ৯১ হাজার ৬০৮টি। এরমধ্যে গরু ১ লাখ ৩৭ হাজার এবং ছাগল ও ভেড়া ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬০৮টি। গত ২০ অক্টোবর পর্যন্ত টিকা প্রদান করা হয়েছে মাত্র ৪৮ হাজার। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর হতে আরও  ১ লাখ টিকা বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু জনবল সংকটে টিকা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর। বিগত দিনের বিভিন্ন প্রকল্পের স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের মাধ্যমে টিকা প্রদান করছেন। অফিসের তথ্যমতে এ পর্যন্ত অ্যানথ্রাক্স আক্রান্তে গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে ১৩টি। তবে এলাকাবাসি, কৃষক ও খামারিদের মতে এর সংখ্য অর্ধশতাধিক।

পশ্চিম বেলকা গ্রামের আব্দুল কাদের বলেন, এই এলাকায় টিকা প্রদান করলেও অনেক পশু বাড় পড়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, টিকা দেয়ার পরও অনেক পশু আক্রান্ত হচ্ছে। 

তারাপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ছেলেদের দিয়ে টিকা দেয়া হচ্ছে। সবগুলো এলাকা টিকা প্রদান করা হয়নি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার দে বলেন, অ্যানথ্রাক্স টিকার কোন সংকট নেই। তবে জনবল সংকট রয়েছে। যে এলাকায় বেশি আক্রান্ত, সেই এলাকায় জরুরী ভিত্তিত্বে টিকা দেয়া হচ্ছে। যারা টিকা দিচ্ছেন তারা প্রশিক্ষিত। নতুন করে আর কোন গবাদি পশুর মৃত্যুর খবর জানা যায়নি। উঠান বৈঠকসহ প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। 

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ২৪ জন অ্যানথ্রাক্সের চিকিৎসা নিয়েছেন। যারা চিকিৎসা নিয়েছেন তারা হলেন- মধ্যে বেলকা গ্রামের সামিউল ইসলাম, সাহাদৎ হোসেন, সবুজ  মিয়া, বেলকা নবাবগঞ্জ গ্রামের আজিজল হক, পশ্চিম বেলকা গ্রামের ভূট্ট মিয়া, আতিকুর রহমান, শহিদুল ইসলাম,  বেলকা গ্রামের মোজাহার আলী, মোজাফ্ফর হোসেন, খতিব মিয়া, ফরিদুল হক, রুজিনা বেগম, কিসামত সদর গ্রামের মোজা মিয়া, মাহবুর রহমান, শাফিকুল ইসলাম, স্বাধীন মিয়া, সকিনা বেগম, তাইজল মিয়া, শিশু ছায়ফান বেগম, আফরিন বেগম, ছালদিয়া ইসলাম, ও রইসুল মিয়া।  এদের মধ্যে রুজিনা বেগম নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad