আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ ►
নওগাঁর রাণীনগরের রেলগেইট সংলগ্ন চৌরাস্তা মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে একটি নিরাপদজনক গোলচত্বর নির্মাণ এখন সময়ের দাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ শেষ হওয়ায় প্রতিটি যানবাহনের চালক রাস্তার পাশে থাকা জাতীয় গতিসীমাকে উপেক্ষা করে ইচ্ছে মাফিক ও প্রতিযোগিতামূলক উচ্চ গতিতে যানবাহন চালানোর কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার।
আবার দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রাণীনগর থেকে কালীগঞ্জ সড়কের ২২কিমি দৈর্ঘ্যরে পাকা ও প্রশস্তকরনের কাজ শুরু হওয়ায় এই রাস্তা দিয়েও উচ্চ গতিতে চলাচল শুরু করেছে বিভিন্ন যানবাহন। প্রতিদিন শত শত ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে এই দুই সড়ক দিয়ে। আর এই দুই সড়কের সংযোগ হয়েছে রেলগেইটে।
যার কারণে বর্তমানে অনেকটাই ব্যস্ত মোড়ে পরিণত হয়েছে এই রেলগেইট এলাকা। যদি এখানে কোন গোলচত্বর নির্মাণ করা না হয় তাহলে প্রতিদিনই ঘটবে মরণঘাতি সড়ক দুর্ঘটনা এমনটিই মনে করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাকাকরণের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে উচ্চ গতিতে বেপোরোয়া ভাবে যানবাহন বিশেষ করে মোটরসাইকেল ও সিএনজি চলাচল করায় প্রতি তিনমাস অন্তর সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনায় একাধিক প্রাণ হারিয়ে যাচ্ছে আবার অনেকেই চিরতরের জন্য পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে।
যার কারণে রেলগেইটের এই চৌরাস্তা মোড়ে ছোট করে হলেও একটি গোলচত্বর নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরী। তা না হলে প্রতিদিনই এখানে ঘটবে দুর্ঘটনা আর ঝড়বে প্রাণ। নিরাপদ সড়ক পারাপারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
নওগাঁ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজেদুর রহমান বলেন নিরাপদে সড়ক পারাপারের জন্য ওই স্থানে একটি নিরাপদজনক গোলচত্বর নির্মাণের পরিকল্পনা সড়ক বিভাগের রয়েছে। কিন্তু রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে গোলচত্বর নির্মাণের জন্য রেলের পরিত্যক্ত জায়গা প্রদানের অনুমতি প্রয়োজন।
গোলচত্বর নির্মাণের জন্য রেলের সেই জায়গা বরাদ্দ পাওয়ার বিষয়ে রেল বিভাগকে লিখিতভাবে জানানোসহ সকল কার্যক্রম সম্পাদন করার জন্য রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তিনি যতদ্রুত রেলের জায়গাটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করবেন তত দ্রুত আমরা সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে রেলগেইটের ওই চৌরাস্তা মোড়ে একটি আধুনিকমানের গোলচত্বর নির্মাণ কাজ শুরু করবো।
এই বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তা রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।