Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৬-৭-২০২৫, সময়ঃ সকাল ১০:২৩

নানা সমস্যার আবর্তে গাইবান্ধার প্রধান ডাকঘর

নানা সমস্যার আবর্তে গাইবান্ধার প্রধান ডাকঘর

মোদাচ্ছেরুজ্জামান মিলু►

সরকারের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ডাকঘর বা পোস্ট অফিস একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবাদানকারী  প্রতিষ্ঠান। প্রায় ২০-২৫ বছর আগে থেকে গাইবান্ধায় পোস্ট অফিসের কার্যক্রম ধীরে ধীরে কমতে থাকে।  এ কারণে মানুষ টাকাসহ, চিঠি, পার্সেল, ডকুমেন্টসস ও অন্যান্য কিছু পাঠাতে বিভিন্ন  কুরিয়ার সার্ভিসের উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছেন। পোস্ট অফিসের খাম বা পোস্ট কার্ড এখনকার ছেলে মেয়েরা হয়তো বেশিরভাগ দেখে নাই। সময়ের ব্যবধানে পোস্ট অফিস এখন দিনে দিনে অপরিচিত একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখা দিচ্ছে।  

গাইবান্ধা জেলার প্রধান পোস্ট অফিস আধুনিক ও নতুনভাবে নির্মাণের কারণে দীর্ঘদিন ভিএইড রোডের ভাড়া অফিসে ছিলো। ২০২৪ সালের জুন মাসে আগের পুরাতন ভবনের জায়গাতেই প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যায়ে সুদৃশ্য তিনতলা ভবনে কাজ চলছে। ভাড়া অফিস থেকে নতুন অফিসে কার্যক্রম শুরুর এক বছর অতিক্রম করলো।  

কথা হয় পোস্টমাস্টার মিজানুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, এই পোস্ট অফিস অফিসিয়ালি এখনো হস্তান্তর হয়নি এবং ঠিকাদার এখনও কিছু টাকা পায় বলে জানান। কিন্তু ঠিকাদার তারিফুল ইসলাম বলেন নতুন এই ভবন হস্তান্তর করা হয়েছে এবং যে টাকা পাওয়া যায় সেটা জামানতের টাকা এবং পাওয়া যাবে প্রক্রিয়া অনুযায়ী।  এ বিষয়ে ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল আনোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে সরকারের পক্ষ থেকে কবে এ অফিস হস্তান্তর করা হবে। তিনি জানান, এ সমস্ত কাজ ডিজি অফিস থেকে নিয়ন্ত্রণ হয় এবং কবে হস্তান্তর করবে সে বিষয়ে তিনি বলতে পারবেন না।  মানুষ উচ্চমূল্যে বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিভিন্ন পার্সেল ও টাকা পাঠাচ্ছে অথচ সরকারের সকল ফ্যাসিলিটিজ থাকার পরেও ডাক বিভাগ কেন পিছিয়ে আছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে পোস্টমাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, এ অবস্থা দিনে দিনে হয়েছে এবং এই ডাক বিভাগের পক্ষে কোনো প্রচারাভিযান নাই। এছাড়া জনবল এই প্রধান ডাকঘরে তেমন নাই। চিঠি বিলি করার জন্য ৯ জন পোস্টম্যান থাকার কথা কিন্তু কাজ করছে মাত্র ৪ জন। এক সময় জিইপি (গ্যারান্টেড এক্সপ্রেস পোস্ট) খুবই জনপ্রিয় ছিলো যেখানে ২৪ ঘন্টায় যে কোনো চিঠি বা ডকুমেন্টস পৌঁছে যেত কিন্তু এই সার্ভিসটিও বন্ধ হয়ে গেছে। সাধারণ মানি অর্ডার ও  ইএমটিএস (ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম) চালু থাকলেও বৈদেশিক মানি অর্ডার চালু নাই। ১১ জন পোস্টাল অপারেটরের মধ্যে ৭ জন পোস্টাল অপারেটর অফিসে বসেন বাকীরা মাস্টার রোলে চুক্তিভিত্তিক হাজিরা অনুযায়ী বগুড়া থেকে বেতন পান। স্টাফ সংকটের আরো কারণ হচ্ছে গত মাসে ২ জন স্টাফ অবসরে গেছেন। আগের পোস্টমাস্টার অবসরে যাওয়ার পর সহকারী পোস্টমাস্টার হিসেবে ৩ জন ছিলেন তাদের মধ্যে মিজানুর রহমানকে পোস্টমাস্টারের দায়িত্বে দেওয়ার পর বর্তমানে মাসুমা আক্তার এবং রোকসানা নামে দুই জন সহকারী পোস্টমাস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  

মুন্সিপাড়ার জয়নাল আবেদিন রংকু বলেন, তিনি একজন ভূক্তভোগী হিসেবে ডাঘরের সেবার আশা ছেড়ে দিয়েছেন এবং যতদিন না কুরিয়ার সার্ভিসের মতো গতিশীল সেবা চালু না করবে ততদিন ঐ প্রতিষ্ঠানের সেবা নিতে ইচ্ছুক না। 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad