Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৩০-৫-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৩:০৪

নিরাপদ নাগরিক পরিসর প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করছে আর্টিকেল নাইনটিন

নিরাপদ নাগরিক পরিসর প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করছে আর্টিকেল নাইনটিন

নিজস্ব প্রতিবেদক►

বাংলাদেশে অনলাইন ও অফ-লাইনে মানুষের নাগরিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হচ্ছে। এই সময়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্যের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন নিরাপদ নাগরিক পরিসর প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে একটি বৈচিত্র্যময় গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতেও তারা ভূমিকা রাখছে।

সোমবার সন্ধ্যায় (২৯ মে) গাইবান্ধার গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের একটি হলরুমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন ও প্রেস ক্লাব গাইবান্ধার যৌথ আয়োজনে 'নাগরিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে নাগরিক সমাজ এবং সাংবাদিকদের মধ্যে সংলাপ' শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সভাপতি জনাব খালেদ হোসেন । উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জনাব জাভেদ হোসেন। এছাড়াও  ১৩ জন গণমাধ্যমকর্মী  এবং ৫ জন সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধি সভায় অংশগ্রহণ করেন। 

আর্টিকেল নাইনটিন এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বে যৌথভাবে "আওয়ার ভয়েসেস আওয়ার চয়েসেস: উইমেন অ্যান্ড ইয়ুথ ফর ডেমোক্রেটিক সিভিক স্পেস (OVOC)" প্রকল্পের অধীনে চলমান ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসাবে এই সংলাপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- বাংলাদেশের তরুণ বিশেষ করে নারী ও মেয়েরা যাতে মৌলিক মানবাধিকার ভোগ করে এবং তাদের জীবন ও সম্প্রদায়ের উন্নতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক নাগরিক পরিসরের উপর বিশেষ গুরুত্বসহ কার্যকর, বহুত্ববাদী এবং প্রতিনিধিত্বশীল নাগরিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। প্রকল্পটি ইউরোপীয় কমিশন এর অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে।  

আর্টিকেল নাইনটিন এর আয়েশা আক্তার আফ্রি সংলাপটির সঞ্চালনা করেন। আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার পক্ষ থেকে আয়েশা আক্তার আফ্রি এই ডায়ালগের উদ্দেশ্য ও আওতা এবং OVOC প্রকল্পের অধীনে পরিচালিত বিস্তারিত কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "আর্টিকেল নাইনটিন বাংলাদেশে একটি বৈচিত্র্যময় গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং নিরাপদ নাগরিক পরিসর প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করছে। সরকার, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনসহ সংশ্লিষ্টদের পলিসি নির্ধারণে এবং দৃষ্টি আকর্ষণে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই জন্য একটি দেশের গণমাধ্যম কিভাবে মানুষের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক প্রতিবেদন ও সংবাদ প্রকাশ করছে তা গুরুত্বপূর্ণ।"

কান্ডারী মহিলা উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি সেলিনা আক্তার সোমা বলেন, "আমরা যে কাজ করব তার জন্য যথেষ্ট তহবিল নাই, তাহলে আমরা কিভাবে কাজ করব। সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠাগুলোকে এ ব্যপারে একটা যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া উচিত এবং সংবাদ মাধ্যমেও এটা আলোচনা হওয়া উচিত।"

উন্নত পরিবার গঠন সংস্থার প্রতিনিধি সাহানা ইয়াসমিন লাকী বলেন, "আমরা কাজ করতে গেলেই প্রতিটি পদে পদে, প্রতিটি অফিসে ঘুষ দিতে হয়। ১ লাখ টাকার ফান্ডের টাকা তুলতে গেলে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। এছাড়াও প্রতিটি পদে পদে হেনস্তা তো আছেই। জেলা পরিষদে আমাদের জন্য ২৫ টা সেলাই মিশিন এসেছে। প্রতিটি মেশিন নিতে ২ হাজার টাকা করে দিতে হবে। আমাদের এই সমস্যাগুলো নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে লেখালেখি হওয়া দরকার।"

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad