রংপুর সংবাদদাতা ►
রংপুর সদরে যৌতুক না দেওয়ায় স্ত্রী শাহনাজ বেগমকে (২৪) বেঁধে রেখে নির্যাতন ও ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ফিজু মিয়ার (৩০) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত রোববার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।
শাহনাজ বেগম জানান, ছয় বছর আগে রংপুর সদরের হরিদেবপুর ফকিরপাড়া গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে ট্রলিচালক ফিজু মিয়ার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। পাঁচ বছর বয়সী ছেলে রয়েছে তাঁদের। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ফিজুকে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরে আরও টাকার জন্য শাহনাজকে নির্যাতন করতেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এক পর্যায়ে বাবার বাড়ি চলে গেলে সালিশের মাধ্যমে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন ফিজু। সম্প্রতি বাড়ি নির্মাণের জন্য বাবার কাছ থেকে টাকা এনে দিতে বললে রাজি হননি শাহনাজ। এর জেরে ১৫ দিন ধরে ঘরের মধ্যে বেঁধে রেখে তাঁকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে মাথায় ওষুধ দিলে প্রায় সব চুল পড়ে যায়। খবর পেয়ে বাবার বাড়ির লোকজন এসে শাহনাজকে উদ্ধার করেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি সুশান্ত কুমার জানান, ওষুধ দিয়ে ন্যাড়া করা হয়েছে কি-না, জানতে ডাক্তারি পরীা করা হবে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মমিনপুর ইউপি সদস্য ছাইদুল হক জানান, মামলা করে ফেরার পথে ফিজু পথে শাহনাজের বাবাকে মারধর করেন এবং তাঁকেও হুমকি দেন। পরে ছাইদুল থানায় গিয়ে ফিজু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। তবে পুলিশ এখনও কোনো পদপে নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।