আবুল কালাম আজাদা, পলাশবাড়ী ►
পলাশবাড়ীতে ইউপি চেয়ারম্যানের পুত্র কর্তৃক সাংবাদিকের ক্ষতিসাধন এবং হত্যার হুমকি প্রদানের অভিযোগে পলাশবাড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌফিকুল আমিন মন্ডল টিটু কর্তৃক ইউনিয়নের গরিব, অসহায়, দুঃস্থ মানুষের মাঝে ভিজিডি কার্ড বিতরণ করার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান নিজের মনগড়ামতো তার নিজেস্ব আত্মীয়স্বজন, প্রভাবশালী এবং অর্থবিত্ত ব্যক্তিদের নামে ভিজিডি কার্ডের তালিকা প্রণয়ন করেন।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার পলাশবাড়ী উপজেলা প্রতিনিধি শাহারুল ইসলাম তাহার নিজেস্ব ফেসবুক আইডিতে ‘পলাশবাড়ীর হোসেনপুর ইউনিয়নে দুস্থ মাতার কার্ডের তালিকায় স্বাবলম্বীরা’ এ রকম একটি পোষ্ট দেন। উক্ত পোষ্টের বিরুদ্ধে জধযধঃঁষ অসরহ নামে ফেসবুক আইডি থেকে কুরুচিপূর্ণ কমেন্টস করে সাংবাদিকের মান-সম্মানের ক্ষতি করাসহ সাংবাদিকতা পেশাকে হেয় প্রতিপন্ন করে।
এছাড়াও গত ৮ এপ্রিল সন্ধ্যা অনুমান ৭:৫৫ মিনিটে জধযধঃঁষ অসরহ নামের আইডিধারী ব্যক্তি সাংবাদিক শাহারুল ইসলামের ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে কল দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। ইহাতে সাংবাদিক শাহারুল ইসলাম বাঁধা নিষেধ করলে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণ নাশসহ বড় ধরনের ক্ষতি সাধনের হুমকি প্রদান করে।
পরে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, রাহাতুল আমিন হোসেনপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুল আমিন মন্ডল টিটুর চেয়ারম্যানের ছেলে। পরে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে পলাশবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়, যার ডায়েরী নং- ৩৫৬, তারিখ- ০৯/০৪/২৩ইং। আরো জানা যায়, চেয়ারম্যান সহ হোসেনপুর ইউনিয়নের অনিয়ম দূর্নীতির খবর প্রকাশ হলে তাহাতে ক্ষিপ্ততা প্রদর্শন করে।
উক্ত রাহাতুল আমিন একটি দূর্দান্ত প্রকৃতির ও বদমেজাজী বখাটে ছেলে। তাই পলাশবাড়ী উপজেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাইবান্ধার পুলিশ সুপার সহ পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।