পলাশবাড়ী প্রতিনিধি ►
পলাশবাড়ীতে বিদ্যালয়ের দপ্তরি পদে চাকুরী বহাল থাকা সত্বেও প্রধান শিক্ষক ও অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি যোগসাজোসে উক্ত পদটি শূন্য দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ঢোলভাঙ্গা দ্বি-মূখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতোয়ার রহমান ও অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইমরুল কবির চৌধুরী যোগসাজোসে ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরি পদটি শূন্য দেখিয়ে উক্ত পদে অন্য একজনকে নিয়োগ প্রদান করেন।
এব্যাপারে দপ্তরি শহিদুল ইসলাম ৩ আগস্ট-২০২২ তারিখে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ভূক্তভোগী জানান, ৪ নভেম্বর-১৯৮৬ তারিখে অত্র বিদ্যালয়ে দপ্তরি পদে যোগদানের পর এমপিওভূক্ত হয়ে টাইমস্কেল সহ যাহার ইনডেক্স নং-৭৮৬৭৩১ মোতাবেক বেতন-ভাতা উত্তোলন করিয়া আসিতেছিলাম। এমতাবস্থায় গত ২০ এপ্রিল-২০২২ তারিখে দপ্তরি শহিদুল ইসলাম চাকুরীতে বহাল থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সভাপতি দপ্তরি পদটি শূন্য দেখিয়ে গোপনে নতুন একজন দপ্তরি নিয়োগ দিয়েছেন।
বিষয়টি জানতে পেরে দপ্তরি শহিদুল ইসলাম শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করায় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি ক্ষিপ্ত হয়ে ২০২২ সালের নভেম্বর মাস হতে তার বেতন ভাতা বন্ধ করে দেন। এদিকে শহিদুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহাতাব হোসেন উক্ত বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় দপ্তরি শহিদুল ইসলাম-কে তার স্বপদে বহাল রাখার জন্য প্রধান শিক্ষক-কে নির্দেশ প্রদান করেন। তার পরেও প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দপ্তরি শহিদুল ইসলামের বেতন বন্ধ করে দেওয়ায় সে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতন জীবন-যাপন করে আসছে।
ফলে দপ্তরি শহিদুল ইসলাম গত ১০ জানুয়ারী-২০২৩ তারিখে মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি খসরুজ্জামান ও ইকবাল কবীর এর বেঞ্চে একটি রীট পিটিশন, যার নং- ১৫৭১৫ দাখিল করেন। মহামান্য হাইকোর্ট রীট পিটিশন দাখিলের ফলে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য প্রধান শিক্ষক আতোয়ার রহমানকে নির্দেশ প্রদান করেন। ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম বিষয়টির সুবিচার চেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।