Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • ২ ঘন্টা আগে

পলাশবাড়ীতে শায়িত হলেন সুদানে নিহত শান্তিরক্ষী সবুজ

পলাশবাড়ীতে শায়িত হলেন সুদানে নিহত শান্তিরক্ষী সবুজ

পলাশবাড়ীতে শায়িত হলেন সুদানে নিহত শান্তিরক্ষী সবুজ—ছবি: মাধুকর।

নিজস্ব প্রতিবেদক►

সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের মহদিপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভগবানপুর) গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় ও সামরিক মর্যাদায় দাফন করা হয়। সবুজ মিয়া ওই গ্রামের মৃত হাবিদুল ইসলামের ছেলে।

মরদেহ কফিনবন্দি থাকায় কেউ শেষবারের মতো সবুজের মুখ দেখতে পারেননি কেউ। কফিন ছুঁয়েই প্রিয়জনকে দেখার আকুতি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনেরা।

এদিন দুপুর ২টায় ঢাকা থেকে আসা মরদেহবাহী হেলিকপ্টারটি গাইবান্ধার তুলসীঘাট হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। সেখান থেকে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার বাড়িতে । ছোট ভগবানপুর মের বাড়ির সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠের পাশে ফাঁকা স্থানে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে তার পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এছাড়াও জানাজা নামাজ ও দাফন কার্যক্রমে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

জানাজা শেষে মরদেহের কফিন রাখা হয় বাড়ির পাশের ঈদগাহ মাঠে। যথাযথ সামরিক মর্যাদা ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়াকে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবার কবরের পাশে শায়িত করা হয়। জানাজা ও দাফনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা সবুজের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মাত্র দুই বছর বয়সেই বাবাকে হারান সবুজ। দুই ভাইবোনের মধ্যে সবুজ ছোট। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অসামরিক ধোপি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। পরে তিনি লন্ড্রি কর্মচারীর পদে উন্নীত হন। প্রায় দেড় বছর আগে নূপুর আক্তারের সঙ্গে দাম্পত্যজীবন শুরু করেন সবুজ। বড় বোনের বিয়ে হওয়ায় মা ও স্ত্রী নিয়েই চলছিল তার সংসার। পরিবারের এক উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারটি এখন নিঃস্ব। তাই এই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সেনাবাহিনী ও সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন এলাকাবাসী। 

উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর আফ্রিকার দেশ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় ঘাঁটিতে দায়িত্বরত ৬ সেনাসদস্য নিহত হন। এছাড়া ৮ সেনাসদস্য আহত হন। আহতরা কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অবস্থিত আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে তারা সকলেই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নিহত শান্তিরক্ষী সেনাদের বহনকারী উড়োজাহাজটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরদিন রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় সেনা মসজিদ প্রাঙ্গণে তাদের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে নিজ নিজ এলাকায় সেগুলো পৌঁছে দিয়ে রাষ্ট্রীয় ও সামরিক মর্যাদায় দাফন করা হয়। 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad