দিনাজপুর প্রতিনিধি ►
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ট্রাক্টর দিয়ে বিশ শতক জমির বীজ তোলার নষ্ট করার প্রতিবাদ করায় এক নারীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। আজ শনিবার দুপুরে আহত নারীকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা গিয়েছে।
আহত নারীর নাম শাহানারা বেগম( ৩৮) সে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার যশাই সৈয়দপুর গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিন শাহর স্ত্রী। আহত জাহানারা বেগম জানায়, গত ৯ জুন শুক্রবার একই এলাকার তফুর উদ্দিনের ছেলের আবুল কালাম আজাদ (৫৫) ও তার ছেলে আরাফাত হোসেন (২৪) তার কন্যা কামরুন নাহার বেগম (২৮), স্ত্রী আফরোজা বেগম (৪৫) ভাই আবু তালেব (৫০) আবু তাহের( ৬০) জহির উদ্দিন (৬২) আব্দুস সালাম( ৪৫) ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) জাকির হোসেন (২৬)সহ আরো কয়েকজন আমার আবাদি বীজ তোলার বপন করা ২০ শতক জমি সহ আরো প্রায় দুই একর জমিতে অবৈধভাবে ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করে।
এতে আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে পিটিএ গুরুতর আহত করে এবং পরনের কাপড় ছিড়ে ফেলে শালীনতাহানি করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আমি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে আমি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছি।
উল্লেখ্য যে, আবুল কালাম আজাদ আমার স্বামী তমিজ উদ্দিনের নামীয় সম্পত্তি ৩ একর ২০ শতক জমি ১৯৯০ সালে ৯২৮৪ নাম্বার হেবা দলিল মূলে নিজ নামের করে নেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে আমার স্বামী জীবদ্দশায় এই হেবা দলিলের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ১৩ ই ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সালে ৯২৮৪ নাম্বার হেবা দলিলটি আদালত বাতিল করে দেয়। আদালত বাতিলকৃত হেবা দলিলটির বিরুদ্ধে আবুল কালাম আজাদ
পুনরায় আপিল করেন ৬ জুলাই ২০২২ তারিখে আদালত আবুল কালাম আজাদের পক্ষে এটি রায় ঘোষণা করেন। ৪ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে আবুল কালাম আজাদের আপিল রায়ের বিপক্ষে শাহানারা বেগম উচ্চ আদালতে এই আপিল রায়ের বিপক্ষে রিট দায়ের করলে ছয় মাসের জন্য ইস্টে আদেশ জারি করেন।
শাহানারা বেগমের স্বামী তমিজ উদ্দিন শাহ ২০২১ সালে মারা যাওয়ার পর শাহানারা বেগম তার একমাত্র সন্তান সাজ্জাদ হোসেন সজিবকে নিয়ে ওই জমিতে চাষাবাদ করে জীবন যাপন করে আসেন বর্তমানেও সেই জমি তার দখলে রয়েছে।