পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি ►
রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের অর্ধশত ইটভাটার অধিকাংশে-ই কয়লার পরিবর্তে অবাধে পোঁড়ানো হচ্ছে গাছ। এভাবে প্রতিদিন শত শত গাছ জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হলে ও বন্ধ করা যাচ্ছে না বনভূমি উজারের এই মহোৎসব।
সরেজমিনে প্রকাশ, পীরগন্জ উপজেলার সকল ইউনিয়নের ইটভাটা গুলোর একই অবস্হা। প্রতিদিন ট্রলি-কাঁকড়া ও ট্রাক্টরে করে শত শত গাছ এনে তা দিয়ে কয়লার পরিবর্তে ইটভাটায় জ্বালানো হচ্ছে। কয়লার দাম প্রচূর 'বেশি' বলে অবাধে বৃক্ষ নিধনে মেতেছে ভাটার অধিকাংশ মালিকেরা। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চৈএকোল, মদনখালী, কুমেদপুর, ভেন্ডাবাড়ি, বড়-আলমপুর, বড়-দরগা, চতরা, কাবিলপুল, পীরগঞ্জ সদর, শানেরহাট, পাঁচগাছী ইউনিয়নে কোন ইটভাটাতেই কয়লার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় নি।
এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাঁড়পএ ছাড়া অনেকেই এভাবে ভাটা স্হাপন করে জীবজগতের এবং পরিবেশের জন্য হুমকির আশংকা বাড়াচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীরা জানায়, গত বছরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাঁড়পএ না থাকার অজুহাতে বন্ধ করা বেশ কিছু ইটভাটা পরক্ষণে-ই সে দিন-ই পূণরায় চালু করে ইটভাটার মালিকেরা।
এ উপজেলার ভাটাগুলোর সিংহভাগে-ই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাঁড়পএ ব্যাতীত ইটভাটা স্হাপন করার কারণে আগের মত গাছে মুকুল নেই, যে কারণে বেশ কিছু ফসলে আশানূরূপ ফসল ফলছে না। বিরূপ এই আবহাওয়ার প্রভাবে অনেক ফসলে অঙ্কুরোদগম ও পরাগায়ণ কাঙ্খিত না হওয়ায় জীব বৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখে। বেশির ভাগ ইটভাটা কৃষি চাষাবাদকৃত ফসলী অঞ্চলের জমির সাথে ঘেঁষা হওয়ায় ভাটার ছড়াঁনো ছাঁই ও ধোঁয়ার শিখার উতপ্ততা এবং কার্বন নিস্বরণে এলাকাবাসীর প্রাণ যেন ওষ্ঠাগত-!
এছাড়া, ভাটাগুলোর অসংখ্য কাঁকড়া ও ট্রাক্টর শ্রেণীর ইট পরিবহন যানের বে-পরোয়া এবং অনিয়ন্ত্রণ চলাচলের কারণে ইউনিয়ন গুলোর পথচারী সাধারণ নাগরিকদের যেন ভোগান্তির সাথে বেড়েছে নাভিশ্বাস। উল্লেখ্য, ইটভাটার 'প্রায়' সব গুলোতে-ই নিজস্ব সাইনবোর্ড চোখে পরে নি। তবে, ইট গুলোর গায়ে কোথাও ABC, MKB, NNB, BKB, NRB, HKB, RBC ইত্যাদি যুক্ত দেখা গেছে।
চলতি মৌসুমে তাৎক্ষণিক ও সরেজমীনে রংপুর জেলা প্রশাসনের উদ্দ্যেগে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্টেটের নেতৃত্বে, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং সামাজিক বন বিভাগের যৌথ অভিযানের মাধ্যমে অবৈধ ও ছাঁড়পএ বিহীন অভিযুক্ত ইটভাটা গুলোর ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান কামনা করে এলাকার সাধারণ নাগরিক ও সূধীজনরা