Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৫-৩-২০২৩, সময়ঃ সন্ধ্যা ০৬:৫১

পীরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে আপ্লুত অনেকেই

পীরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে আপ্লুত অনেকেই

মোস্তাফিজুর রহমান রুসেল, পীরগঞ্জ(রংপুর)  ►

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া সরকারি জমিসহ আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মিত সরকারি বাসগৃহ পেয়ে হাসি ফুটেছে অনেক অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে।

একদিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর নির্মাণের কাজ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। অন্যদিকে বন্দোবস্তকৃত খাস জমির কবুলিয়তসহ সরকারি খরচে নির্মিত আধাপাকা বাসগৃহ পেয়ে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আনন্দের হাওয়া বইছে আশ্রয়ন প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের মাঝে। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রানী রায় পীরগঞ্জে যোগদানের পর থেকে শুরু করে এ যাবত উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ৪৯০টি ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জায়গা বরাদ্দ থেকে শুরু করে, পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পুকুর, ঘাট, মসজিদ, বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। 

গত রোববার সরেজমিনে আশ্রয়ণ কেন্দ্র গিয়ে অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন বসবাসকারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঘরের সাথে জমির কাগজপত্রের মালিকানা পেয়ে তারা এখন অনেক খুশি। বিনামূল্যে এসব ঘর পেয়ে আনন্দে ভাসছে সুবিধাভোগীরা। এদের অনেকেরই কাছে এরকম একটি ঘরের মালিক হওয়া ছিল রীতিমতো স্বপ্নের। অবশেষে তাদের এ স্বপ্ন পুরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে নিজেদের স্থায়ী ঠিকানা হওয়ায় আবেগে আপ্লুত এক সময়ের ভূমিহীন ও গৃহহীনরা। অনেকে চিন্তাও করতে পারেননি। যে তারা নিজেরা এ ধরণের একটি ঘরের মালিক হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রাণ খুলে দোয়াও করছেন অনেকেই।

কুমেদপুর ইউনিয়নের বগেরবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা তবারক আলী ও চতরা ইউনিয়নের শমসের পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া জয়েদ আলী, আজাদ আলি, নূরজাহান, কুলছুম বেগম, নাজমা ও সিমা বেগম বলেন, আমরা খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ তার সম্মান আরও বাড়িয়ে দিন। স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি যে, আমারা জমিসহ ইটের একখানা নতুন ঘর পাবো। দোয়া করি শেখ মুজিবের বেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিরোদা রানী রায়ের জন্য। নতুন ঘর পাওয়া এসব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষগুলোর চোখে মুখে সুখের আনন্দ। 

এছাড়াও চৈত্রকোল মাহালী পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা বিধবা তেরেজা মার্ডী বলেন, বাঁশ শিল্পের কাজ করে আমার সংসার চলে, স্বামী মারা যাবার পর থেকে নাতি নাতনিকে নিয়ে ভাঙ্গা একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছিলাম। বর্ষা মৌসুমে সেই ঘরে পলিথিন গায়ে দিয়ে শুয়ে-বসে রাত কাটাতে হতো। এখন আমি সরকারি ঘর পেয়েছি। অনেক সুখে আছি।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বড় আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সেলিম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রায় প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে সরকারি খরচে মাথা গোঁজার মতো ন্যুনতম একটি করে আশ্রয়স্থল গড়ে দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করে দিয়েছেন। তার এ উদ্যোগ বিশ্বে চিরদিন বিরল হয়ে থাকবে। প্রকৃত ভূমিহীন বাছাইয়ের সুবিধার্থে স্থানীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা সহযোগিতা করে আসছেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রানী রায় বলেন, উপজেলার ১২ ইউনিয়নে ৪৯০টি গৃহহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি বাসগৃহের নির্মাণ শেষে সুষ্ঠুভাবে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য চমৎকার পরিবেশে মানসম্মত টেকসই ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। এসব ঘরে আশ্রয় পাওয়াদের অধিকাংশই ভূমিহীন বা কারও বাড়িতে বসবাস করতেন। তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর উপহার পাওয়ায় জীবনযাত্রার মান আরো উন্নত হবে। 

এছাড়াও ভুক্তভোগীরা সামাজিক মর্যাদা পেয়ে এখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে। তাদের জন্য সরকারি ভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের গড়ে তোলা হচ্ছে দক্ষ জনশক্তিতে এবং পেতে শুরু করেছে ঋণ সহায়তা। সবমিলিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad