মাধুকর ডেস্ক ►
নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে মানিকগঞ্জে ৩টি, টাঙ্গাইলে ৩টি, কিশোরগঞ্জে ১টি এবং ময়মনসিংহে ৬টিসহ মোট ১৩ তরুণীকে বিয়ে করেন মো. মহিদুল ইসলাম ওরফে মইদুল (২৭)। এদের মধ্যে এক প্রতিবন্ধী নারীও রয়েছেন। জেলার তারাকান্দা উপজেলার এক তরুণী তার পরিবারের লোকজন নিয়ে এসপি অফিসে মহিদুলের প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ করেন। পরে ঘটনাটি তদন্তে নেমে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে। এ সময় কুদ্দুস আলী (৩৫) নামে তার এক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এদিকে মইদুলকে গ্রেপ্তারের খবরে তার ৬ স্ত্রী উপস্থিত হন থানায়।
শুক্রবার রাতে গাজিপুর জেলার চন্দ্রা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) মাসুম আহমেদ ভুঁঞা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃত মো. মহিদুল ইসলাম ওরফে মইদুল মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তার সহযোগী কুদ্দুস আলী জেলার তারাকান্দা উপজেলার নগুয়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে।
এসপি মাসুম আহমেদ ভুঁঞা বলেন, সম্প্রতি জেলার তারাকান্দা উপজেলা থেকে এক তরুণী তার পরিবারের লোকজন এসে মহিদুলের প্রতারণার বিষয়টি আমাকে জানায়। পরে ঘটনাটি তদন্তে নেমে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরও বলেন, প্রতারক মহিদুল নৌ-বাহিনীতে এমএলএস পদে চাকরি করতেন। সেখানে দুই বছর চাকরি করার পর বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত হয়। এরপর থেকে তিনি নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে মোট ১৩টি বিয়ে করেন।
এসপি আরও বলেন, মহিদুল বিয়ে করার কৌশল হিসেবে মানিকগঞ্জে পদ্মার চড়ে তার বাড়ি ছিল বলে প্রচার করতেন। সেখানে পদ্মার ভাঙনে মা বাবাসহ সব হারিয়ে নি:স্ব বলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন। এভাবেই তিনি মানুষের সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে একের পর এক মোট ১৩টি বিয়ে করে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ২০১৬ সালে নৌ-বাহিনীতে চাকরি করার সময় পোশাক পরিহিত অস্ত্রসহ মহিদুলের কিছু ছবি জব্দ করা হয়েছে। মহিদুল ইসলামের গ্রেপ্তারের খবরে তার ৬ স্ত্রী উপস্থিত হয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই টাকা উদ্ধার ও মহিদুল ইসলামের কঠিন বিচার দাবি করেন। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।