মাধুকর ডেস্ক ►
ফুল ভালোবাসার প্রতীক, পবিত্রতার প্রতীক। ফুলকে ভালোবাসে না পৃথিবীতে এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। ফুলের সৌরভ এক দিকে যেমন মানুষকে বিমোহিত করে তেমনি এর সৌন্দর্যও প্রাকৃতিকে করে তোলে আকর্ষণীয়।
প্রতিবছরের মতো এবারও ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সাবদি ও দিঘলদী এলাকা। চোখ যেদিকে যাবে শুধু ফুল আর ফুল। এলাকাজুড়ে শুধু ফুলের বাগান। এ ফুল দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। বিশেষ করে ছুটির দিনে যেন দর্শনার্থীদের ঢল নামে এ এলাকায়।
এদিকে, ভাষার মাস উপলে ফুল চাষীদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। কারণ তাদের দরজায় কড়া নাড়ছে তিনটি দিবস। পহেলা ফাগুন, ভালোবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারি এ তিন দিবসকে কেন্দ্র করে তাদের ব্যস্ততা বেড়েছে অনেক বেশি। আর এ বছর তাদের ফুল বিক্রির ল্যমাত্রা হচ্ছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
ফুলচাষীদের সঙ্গে কথা জানা যায়, বছরজুড়েই নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার দিঘলদি ও সাবদীসহ কয়েকটি এলাকায় ফুলচাষ হয়ে থাকে। তবে শীত মৌসুমে প্রায় সবাই ফুলচাষ করেন।
নারায়ণগঞ্জ শহরে ফুলের চাহিদার অনেকটাই পূরণ করেন দিঘলদি ও সাবদি এলাকার ফুল চাষিরা। সেই সঙ্গে দেশের অন্যান্য এলাকাতেও এখানকার ফুল যায়। বন্দর উপজেলার দিঘলদি ও সাবদী গ্রামের প্রায় ২৫০ বিঘা জমিতে চাষ হচ্ছে গাঁদা, গ্লাডিওলাস, চেরি, জাপানি, চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা জাতের ফুল। মাঠের পর মাঠ লাল গাদা ও গ্লাডিওলাস ফুলের দৃশ্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।
জাকির হোসেন নামে এক ফুলচাষী বলেন, প্রতিদিন এখান থেকে ঢাকার শাহবাগে ফুল নিয়ে যাই। প্রতিদিন তিন গাড়ি ফুল ঢাকায় যায়। প্রতিবছরই ১৫-১৬ বিঘা জমিতে ফুল চাষ করে থাকি। ফুল চাষে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ হয়। অন্য বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন হয়েছে। আশা করছি এ বছর প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এখানে ফুল দেখতে আসে। দেখতে এসেও অনেক খুচরা ফুল কেনেন। প্রতিদিন প্রায় ৪-৫ হাজার টাকার ফুল বিক্রি হয়। তবে শুক্রবার বিক্রি আরও বেড়ে যায়।
বন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারহানা সুলতানা বলেন, ফুলচাষ লাভজনক ফলন। গতবারের তুলনায় এবার ভালো ফলন হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি টাকার ফুল বিক্রির ল্যমাত্রা নিয়ে কৃষকরা ফুলচাষ করেছেন।