Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৬-৮-২০২৩, সময়ঃ সন্ধ্যা ০৬:১৪

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চর্চা বাড়িয়ে দিতে হবে- বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চর্চা বাড়িয়ে দিতে হবে- বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম

দিনাজপুর প্রতিনিধি►

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বলেছেন, জয় বাংলা শ্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বহু ত্যাগ ও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সম্মানিত স্থানে বসানো হয়েছে। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বহু আলোচনা, সেমিনার বক্তব্য হয় কিন্তু চর্চা কম হয়। বঙ্গবন্ধুর চর্চা নিয়ে আমাদের মধ্যে এখনও ঘাটতি রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে জানতে পারবো যদি তার রাষ্ট্রীয় দর্শন গভীর ভাবে বিশ্লেষণ করা যায়। তার জন্য আমাদের প্রথমেই ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে ফিরে যেতে হবে।

আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১০ টায় দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী রংপুর বিভাগের সহযোগিতায় ও বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী দিনাজপুর জেলা শাখার উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু-আলোচনা ও চর্চা’ শীর্ষক একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

তিনি আরও বলেন ,বঙ্গবন্ধুর খুনের কারণ বের করলেই অনেক কিছু বের হয়ে আসবে। ধর্ম নিরপেক্ষতার ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর কি দর্শন ছিল তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু তা চর্চা করি না। তিনি তার প্রত্যেক ভাষনেই ইনশাআল্লাহ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। আমাদের চর্চার ঘাটতি রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ধর্মকে কিভাবে দর্শন করেছেন তা আমরা চর্চা করি না বলেই আজ ধর্ম নিয়ে এতো রাজনৈতিক ব্যাখ্যা।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ১৯৭১ গণহত্যা, নির্যাতন, আর্কাইভ ও বঙ্গবন্ধু যাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।

অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন সমন্ধে যে জ্ঞান অর্জন করলাম তা বাস্তব জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে হবে। তিনি স্মরণ করেন ১৯৭৭ সালের এই দিনাজপুর কারাগারে আমি ফাঁসির কক্ষে বন্দি ছিলাম। মুক্ত হওয়ার পর যে মানুষটি আমাকে জড়িয়ে ধরে তার বাসায় নিয়ে গিয়েছিলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানের একক আলোচক বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এর পিতা সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রয়াত এম. আব্দুর রহিম।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন আহবায়ক বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মোজাম্মেল বিশ্বাস। বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান এর সভাপতিত্বে ও গনহত্যা যাদুঘরের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চৌধুরী শহীদ কাদের এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনি সাধারন সম্পাদক  মুর্শিদা বিনতে রহমান, অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব আলী ছায়েদ।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কলেজ ও স্কুলের শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad