নিজস্ব প্রতিবেদক ►
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল আলমের বিরুদ্ধে জীবনস্বত্বে প্রাপ্ত জমি কবলা দলিল মূলে হস্তান্তর দেখিয়ে জালিয়াতি করে খারিজ খতিয়ান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি এলাকাবাসির পক্ষে জনগণের সম্পত্তি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব এর বরাবরে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন এলাকাবাসী ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ০৪/ ০৯/ ১৯৯৫ ইং সালের ৮০৭৯ নং দলিল মুলে চকবরুল মৌজার নালিশী ৬৭৬০ দাগে সুভাষিনী বর্মণীর রেকর্ডীয় জীবনস্বত্ব ০.৪৩ একর জমির কোন ওয়ারিশ না হওয়া সত্বেও পেরিমোহন দাস চম্পা রানীকে দলিল করে দেয়।
পরবর্তীতে উক্ত ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো: শরিফুল আলম মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ১৯৯৬ ইং সালের ভুয়া ৪৭২২ নং না দাবি দলিল উপস্থাপন করে ও নামজারি বিআরএস খতিয়ানে জীবনস্বত্ব শব্দটি কৌশলে মুছে দিয়ে বিবাদী পক্ষকে নাম জারি করে দেন । যার কেস নং ৯৩০/২২ -২৩। কিন্তু উক্ত সম্পত্তীর বিআরএস রেকর্ডীয় জীবনস্বত্ব মালিক সুভাসিনী বর্মনী।
পরবর্তীতে ১৬১৪ নং খতিয়ানের জীবনস্বত্ব মালিক সুভাসিনী বর্মনী সম্পত্তি হস্তান্তর করেন নাই মর্মে বিষয়টি প্রমাণিত হলে চম্পা রানীর উক্ত খারিজ খতিয়ান বাতিল হয় । উক্ত ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো: শরিফুল আলম দীর্ঘদিন থেকে বহিরাগত দালাল চক্রের যোগসাজশে এ ধরনের গুরুতর অপরাধ করে আসছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে বাদিয়াখালি ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জীবনস্বত্বে জমির মালিক হলেও স্বামীর শ্রাদ্ধ কাজ ও দেনাদফা শোধ করার জন্য বিক্রি করতে পারে বলে তিনি জানান ।