ক্রীড়া প্রতিবেদক ►
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙার পর হাবিবুর রহমানের দল উত্তরাঞ্চলের না জেতার কোনো কারণ ছিল না। মধ্যাঞ্চলের বিপে জয় পেয়েছে উত্তরাঞ্চল। বিসিএল ওয়ানডের ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে পূর্বাঞ্চলের। যারা আজই ৭ উইকেটে হারিয়েছে দণিাঞ্চলকে।
প্রথমে শহীদুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান, তাইবুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্স, এরপর হাবিবুর রহমানের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতেই মধ্যাঞ্চলকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছ উত্তরাঞ্চল।
প্রথম দুই ম্যাচেই জিতে ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলো মধ্যাঞ্চল। কিন্তু আজ বড় ব্যবধানে হেরেই রানরেটে পিছিয়ে পড়ে তারা। মধ্যাঞ্চলের দেওয়া ২০২ রানের ল্য ২৪.৪ ওভারেই পেরিয়ে গিয়ে নেট রান রেটে বড় লাফ দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে উত্তরাঞ্চল।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.১ ওভারে ২০১ রানে অলআউট হয়ে যায় মধ্যাঞ্চল। চার নম্বরে নামা মাহিদুল ইসলাম শেষ পর্যন্ত ৯৯ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। কিন্তু অষ্টম উইকেটে (৬০ বলে ৪৪ রানের জুটি) আবু হায়দার (২৪) ছাড়া তাঁকে সেভাবে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। ৪১ রানে ৪ উইকেট নেন শহীদুল। রাকিবুল ও তাইবুর নেন ২টি করে উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে হাবিবুরের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১০ ওভারেই ১২৪ রান তুলে ফেলে উত্তরাঞ্চল। হাবিবুর অবশ্য ভাগ্যের সহায়তা পান, শূন্য রানেই ক্যাচ তুলে বেঁচে যান। ১৯ বলেই অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে যা দ্বিতীয় দ্রুততম।
অর্ধশতকের পর জীবন পান আরও একবার। সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে তার লাগে ৪৯ বল, বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে যা দ্রুততম। আগের রেকর্ড ছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার। ২০১৬ সালে শেখ জামাল ধানমন্ডি কাবের বিপে ৫০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন কলাবাগানের হয়ে খেলা মাশরাফি।
তানজিদ হাসানের সঙ্গে হাবিবুরের উদ্বোধনী জুটিতেই ওঠে ১৪০ রান। শেষ পর্যন্ত ৬১ বলে ১১৭ রানের ইনিংসে হাবিবুর মারেন ৯টি করে চার ও ছক্কা। ১৭৪ রানে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি, তবে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই উত্তরাঞ্চলের জয় নিশ্চিত করে আবদুল্লাহ আল মামুন ও অমিত হাসানের জুটি।
দিনের অন্য ম্যাচে দল ফাইনালে উঠলেও ১ রানের আেেপ পুড়েছেন জাকির হাসান। দণিাঞ্চলকে ৭ উইকেটে হারানো ম্যাচে ৯৯ রানে রানআউট হন পূর্বাঞ্চলের এ ব্যাটসম্যান।