পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি ►
রংপুরের পীরগাছায় হিমালিয়ান গৃধিনী প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার করেছে ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশের সদস্যরা।শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়ন থেকে শকুনটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় শকুনটি খুব ক্লান্ত ছিল। পরবর্তীতে শকুনটির চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের একমাত্র শকুন পরিচর্যা কেন্দ্র দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সিংড়া ফরেস্টে পাঠানো হয়।
সংগঠনের সদস্যরা জানান, পীরগাছা উপজেলার অন্নদানগর এলাকার একটি গাছে আটকে থাকা অবস্থায় বিশাল আকৃতির এই শিকারি পাখিটি উদ্ধার করা হয়। দীর্ঘ পথ ভ্রমণে শকুনটি অসুস্থ হয়ে উড়ার শক্তি হারিয়ে ফেলে। লোকালয়ে বিচরণের সময় বিশাল আকৃতির এই শকুনটিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। পরে নজরে আসে ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশ টিমের। তারা রাতেই উদ্ধার করে শকুনটিকে। বিষয়টি জানাজানি হলে বিশাল আকৃতির শকুনটি এক নজর দেখতে ভিড় করে উৎসুক জনতা। শনিবার সকালে রংপুরের কারমাইকেল কলেজে নিয়ে আসা হয় শকুনটিকে। সেখানেও শকুনটি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শকুনকে প্রকৃতির ঝাড়ুদার বলা হয়। বড় ডানার বৃহদাকার এই পাখি তীক্ষ্ণ দৃষ্টির অধিকারী ও মৃত প্রাণী ভক্ষণকারী। শকুনই একমাত্র পাখি যারা রোগাক্রান্ত মৃত প্রাণী খেয়ে হজম করতে পারে এবং অ্যানথ্রাক্স, যক্ষ্ণা, ক্ষুরারোগের সংক্রমণ থেকে জীবকুলকে রক্ষা করে। প্রতিবছর শীত মৌসুমে শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে এবং খাবারের অভাবে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে উড়তে শুরু করে এরা। প্রায় প্রতি বছরই বাংলাদেশে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে ১৫-২০ টি হিমালিয়ান গৃধিনী শকুন উদ্ধার হয়।
উদ্ধারকারী সংগঠনের সদস্য নূর হাসান নাহিদ ও মাহমুদুল হাসান সোহেল জানান, হিমালিয়ান গৃধিনী শকুনটি খুব ক্লান্ত অবস্থায় ছিল। উদ্ধারের পর শকুনটিকে দিনাজপুরের সিংড়া ফরেস্টে পাঠানো হয়েছে।