নিজস্ব প্রতিবেদক ►
গাইবান্ধায় ষাটোর্ধ বয়সের লতিফা বেগম নামের এক নারী গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। আজ শনিবার সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে জলের মোড় রামচন্দ্র গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লতিফা বেগম ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিজ বাড়িতে একাই ছিলেন লতিফা বেগম। তার স্বামী শুক্রবার মেয়ের বাড়িতে কোরবানি মাংস নিয়ে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরেন নেই তিনি। নিহতের ছেলে অন্যত্রের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। লতিফা ছাড়া বাড়িটিতে আর কোন লোকজন ছিলেন না।
আজ বিকেলে বাড়ির গৃহিনী (কাজের মেয়ে) কাজ করার জন্য ওই বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায় তিনি বাড়ির ভেতরে গিয়ে লতিফার গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। পরে আশপাশের লোক আসেন। স্থানীয়রা সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের চাচতো ভাই হবিবর বলেন, কে বা কারা আমার বোনকে গলাকেটে হত্যা করে রেখে গেছেন আমরা এখনও বলতে পারছি না। সন্দেহ তো আছেই। নিহতের স্বামী-ছেলে-মেয়ে ও আত্নীয় স্বজন আসার পর বসে আমরা সিদ্ধান্ত নিব। আমার বোনকে পরিকল্পনা করে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছি।
গাইবান্ধা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা মর্গে পাঠনো হচ্ছে। তবে কী কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তÍুতি চলছে বলে তিনি জানান।