Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৯-৮-২০২৪, সময়ঃ রাত ০৮:১৯

রাষ্ট্র সংস্কারে ৯ দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ

রাষ্ট্র সংস্কারে ৯ দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক►

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে ৯ দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

আজ (শুক্রবার, ৯ আগস্ট) বিকেলে জেলা শহরের বড় মসজিদের সামনে থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাচারী বাজারে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি আব্দুল মাজেদ, সাধারণ সম্পাদক আল আমিবিন হুসাইন, কোষাধ্যক্ষ মো. আরিফ উদ্দিন, সাবেক সভাপতি কলামিস্ট মো. মিজান মজিদ, হাফেজ মাওলানা মুফতি তৌহিদুল ইসলাম, মাওলানা আসাদুল্লাহ আল গালিব, সদর উপজেলা সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম, পলাশবাড়ী উপজেলা সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম, সংগঠনের জেলা প্রচার সম্পাদক মুফতি ইউসুফ এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি শাহাজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ।

বক্তারা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঘোষিত ৯ দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের দাবি জানান।

প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে-

১। অনতিবিলম্বে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় এমন সকল রাজনৈতিকদল, পেশাজীবি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের প্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শ করে১৫ সদস্য বিশিষ্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে।যার মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ৬মাস।

২। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

৩। গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইবুনাল গঠন করে গণহত্যার বিচার করতে হবে। একই সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘ ১৬ বছরের সকল হত্যা, গণহত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার ও তাদের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

৪। গত ১৬ বছরে সরকারের দুর্নীতি ও বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত এনে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে। সেই সাথে দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপিদের অবৈধ অর্থ সম্পত্তি ক্রোক করতে হবে এবং বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

৫। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ প্রজাতন্ত্রের যে সকল কর্মচারীআইন, সংবিধান, শপথ লঙ্ঘন করেঅপেশাদার আচরণ করেছে তাদেরবিচার করতে হবে।

৬। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর চিন্তা-চেতনা ও অনুভূতির বিরুদ্ধেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।

৭। নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। এবংঅবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনেরজন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি (পি.আর) চালুকরতে হবে।

৮। গত ১৬ বছরেশিক্ষাখাতের মান ও নৈতিকতাক্ষতি হয়েছে। তাই এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শিক্ষাবিদ ও উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে একটি জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে।

৯। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উলামায়ে কেরামের একজন প্রতিনিধি অবশ্যই থাকতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad