নিজস্ব প্রতিবেদক►
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে শান্তি-শৃঙ্খলা ও জানমাল রক্ষা এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নৈরাজ্য বন্ধের দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কয়েকটি বামপন্থী রাজনৈতিক দল।
আজ (বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে জেলা শহরের ১ নম্বর রেলগেট, আসাদুজ্জামান মার্কেট এবং গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (গানাসাস) সামনে পৃথকভাবে এসব কর্মসূচি পালন করে দলগুলো।
বেলা ১২টার দিকে গানাসাসের সামনে বামপন্থী রাজনৈতিক দলসমূহ, গাইবান্ধা জেলার ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। এতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মনজুর আলম মিঠু, জেলা নেতা অধ্যাপক রোকেয়া খাতুন, জাহিদুল ইসলাম ও সবুজ মিয়া; বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের সদস্য ও জেলা আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী এবং জেলা সদস্য সচিব সুকুমার চন্দ্র মোদক প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা সারাদেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সংখ্যালঘুদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট বন্ধের দাবি জানান।
এদিকে বেলা সোয়া ১২টার দিকে শহরের ১ নম্বর রেলগেট থেকে মিছিল বের করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ (মার্কসবাদী)। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আবারও রেলগেটে গিয়ে শেষ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বাসদ (মার্কসবাদী)’র জেলা আহ্বায়ক আহসানুল হাবিব সাঈদ জেলা কমিটির সদস্য নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, কাজী আবু রাহেন শফিউল্লাহ খোকন, মাহবুবুর রহমান খোকা ও পরমানন্দ দাস প্রমুখ।
এসময় গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগে ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন জানান দলটির নেতাকর্মীরা। সেইসাথে শেখ হাসিনা সরকারের গণহত্যার বিচার, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির চক্রান্তকারীদের প্রতিহত, লুটপাট, ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধ এবং আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার নেতৃত্বের মতামত ও পরামর্শক্রমে সর্বজনগ্রহণযোগ্য বিশিষ্ট ব্যক্তি, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, আইনজীবী ও পেশাজীবীদের সমন্বয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি জানান বক্তারা।
অন্যদিকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শহরের আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এসময় দলটির জেলা সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল্লাহ আদিল নান্নু ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মিতা হাসান বক্তৃতা করেন।
বক্তারা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ-স্থাপনা ধ্বংস, সংখ্যালঘুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, স্থাপনা শেখ হাসিনার বাবার টাকায় হয় নাই, এগুলো জনগণের টাকায় করা হয়েছে। একটা গোষ্ঠী ছাত্রদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এসবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জনগণের প্রতি আহবান জানান বক্তারা।