শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই দেশে ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করেছে বলেই দেশের এত উন্নয়ন-হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি

দিনাজপুর প্রতিনিধি ►

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই দেশ ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করেছে বলেই দেশের এত উন্নয়ন উল্লেখ করে জাতীয় সংসদেও হুইপ ইকবালুর রহিম বলেছেন অসহায়, দরিদ্র ছিন্নমুল মানুষেরা প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার সুফল ভোগ করছেন। শান্তিতে বসবাস করছেন। বাংলাদেশের প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ কালভার্ট, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন হয়েছে।

আজ শনিবার (২১ জানুয়ারি ) সকাল ১১ টার দিকে  দিনাজপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর উপজেলার ওলামাগণ, রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকন, দুঃস্থ খেলোয়াড়, প্রতিবন্ধী, বাস শ্রমিক মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার (শীতবস্ত্র) বিতরণ ও বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচির আওতায় বাইসাইকেল এবং বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন ।

তিনি আরোও বলেন ,উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে বাংলার জনগনের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও পদ্মা সেতুর বিরোধীতাকারী বিএনপি নেতারাই পদ্মা সেতুর সুফল ভোগ করছেন। বিএনপি নেতারা পদ্মাসেতু দিয়েই চলাচল করছেন। আর সেই সেতু পার হয়েই শেখ হাসিনার উন্নয়নের বিরোধীতা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। এখন মানুষ এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলতে পারছেন।  বিএনপি যতই এই উন্নয়নের বিরোধীতা করুক, জনগনের মন জয় করতে পারবে না। আর শেখ হাসিনাকে দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নে থামাতে পারবেনা। বিএনপির সকল ষড়যন্ত্রকেই জনগন প্রত্যাখান করেছে।

দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রমিজ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আনিচুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহ ইয়াজদান মার্শাল, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সোহাগ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আরা জোন্সা, সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাথী দাস, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. শামীম আলম সরকার বাবু, সাধারন সম্পাদক এনাম উল্ল্যাহ জ্যামী, সাবেক সাধারন সম্পাদক এস এম খালেকুজ্জামান রাজু প্রমুখ।

উল্লেখ, অনুষ্ঠানে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে উপজাতীয় নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ১ম ও ২য় কিস্তি বরাদ্দ: বসতঘর-২৫টি ৪৩ লাখ ৪২ হাজার ৫০০টাকা, ৩০টি বাইসাইকেল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, শিক্ষাবৃত্তিঃ ১ম হতে ৫ম শ্রেণি ১০০ জন ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ৬ষ্ঠ হতে ১০ম শ্রেণি ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও একাদশ শ্রেণি থেকে ৩০ জন ২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। মোট ৫৫ লাখ ৯০ হাজার ৫০০ টাকা।