Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৪-১-২০২৪, সময়ঃ রাত ০৭:০০

সরিষা ফুলে শোভিত তিস্তার বিস্তীর্ণ বালুচর

সরিষা ফুলে শোভিত তিস্তার বিস্তীর্ণ বালুচর

এ মান্নান আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ

তিস্তার ধু-ধু বালুচর যেন অপরুপ সাজে সাজিয়ে তুলেছে সরিষা ক্ষেত। সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে চরাঞ্চলের বিস্তৃত এলাকা। এমন চোখ জুড়ানো হলুদের মেলা প্রকৃতিকে একধাপ এগিয়ে নিয়েছে। এক ফুল থেকে আরেক ফুলে গুন গুন করে মধু আহরণে ভিড় করছে মৌমাছিরা। সরিষা ক্ষেতে যেন মৌমাছিরা হাট বসিয়েছে।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের তিস্তার চরাঞ্চলসহ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় সরিষা ফুলের এমনই নয়নাভিরাম দৃশ্য এখন সকলের নজর কেড়েছে। সেই সাথে স্কুল কলেজগামি শিক্ষার্থীরা ছবি তোলার জন্য ভির করছে সরিষা ক্ষেতে। 

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২ হাজার ৭৯৭ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুন হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় তেলজাতীয় ফসল উৎপাদনে বেশ গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। সেই কারণে এবার সরিষার চাষ বাড়িয়েছে কৃষকরা।

কাপাসিয়া ইউনিয়নের বাদামের চরের কৃষক আব্দুর আনছার আলী জানান, গত বছর তিনি দুই বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছিল। চলতি মৌসুমে তিন বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছে। আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকলে ভাল ফলন পাওয়া যাবে। সরিষা চাষাবাদে তেমন খরচ হয় না। তবে পরিচর্যা করতে হয়। তিনি বলেন তিন বিঘা জমিতে এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৪ হাজার টাকা। 

তারাপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা লিটন মিয়া বলেন, সরিষা চাষাবাদের আগে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামশ প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া ভাল দাম পাওয়ার আশায় চলতি মৌসুমে অনেকে সরিষা চাষে ঝুকে পড়েছে। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলে ব্যাপক সরিষা চাষাবাদ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার  রাশিদুল কবির জানান, গত বছর উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও একিিট পৌরসভায় ২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে তা বাড়িয়ে ২ হাজার ৭৯৭ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষাবাদের লক্ষমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার টন সরিষা উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, তেল জাতীয় ফসল উৎপাদনে সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। সরিষা থেকে সহজেই তেল বের করা যায়। বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষে ৮০ থেকে ৮৫ দিনের মধ্যেই ঘরে তোলা যায়। তাই বারি-১৪ সরিষা চাষ করে  কৃষকরা আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। অল্প খরচে অধিক লাভের আশায় সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষকরা। 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad