জয়নুল আবেদীন, সাঘাটা (গাইবান্ধা)►
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গড়িমসির কারণে গাইবান্ধার সাঘাটা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নবনির্মিত ভবনের কাজ প্রায় ৭ বছরেরও সম্পন্ন হয়নি। ২০১৮ সালে শুরু হয়ে দেড় বছরে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা এতদিনেও হয়নি। এ বছর ভর্তি কার্যক্রম শুরু হলেও শ্রেণিকক্ষ ও প্রশাসনিক ভবনের অভাবে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের কালপানিতে ১৫০ শতাংশ জমির উপর ১৫ কোটি ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার ৬২৮ টাকা ব্যয়ে সাঘাটা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে বিগত ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ পায় ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঢালী কনস্ট্রাকশন।
কার্যাদেশ মোতাবেক উদ্বোধনের পর ২০২১ সালের ৩০ জুন নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজ ফেলে রাখার কারণে এ পর্যন্ত অর্ধেকাংশ কাজ এখনো শেষ হয়নি বলে জানান এলাকার বাসিন্দারা।
এলাকার বাসিন্দা ইউনুছ আলী জানান, প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণকাজ ধীর গতিতে চলছে। এতে করে এবারও প্রতিষ্ঠানের পাঠদান ব্যাহত হবে । নির্ধারিত সময়ের পর প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় মেয়াদ বর্ধিত করেও সময়মত কাজ শেষ হওয়ার কোন নিশানা নেই।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মাত্র কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। নির্মাণ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি।
প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ১ জানুয়ারী থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিটি ট্রেডে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাস শুরু করবে।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার তারিকুল ইসলাম জানান, ক্লাস ও প্রশাসনিকসহ ভবনের সার্বিক নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সমস্যার কথা জানিয়ে কাজ শেষ করার তাগাদা দিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, আমি নতুন এসেছি। প্রকল্পের খোঁজখবর রাখছি।
গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল হোসেন বলেন, নানা কারণে প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে তিনি গাইবান্ধার বাহিরে থাকায় পরে বিস্তারিত জানাবেন বলে মুঠোফোনে জানান।