সাঘাটা প্রতিনিধি ►
সাবেক সভাপতি ও শিক্ষকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দপুর দাখিল মাদ্রাসার টিনের তৈরি ঘর উচ্ছেদ, আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুটপাট করেছে। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াকুল আলী প্রধান ও তার সমর্থিত ৫ জন শিক্ষকের যোগসাজসে ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনীর মাধ্যমে শনিবার সন্ত্রাসী কায়দায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোবিন্দপুর দাখিল মাদ্রাসাটি নদীভাঙ্গনের কবল থেকে অন্য মৌজায় স্থানান্তর করা নিয়ে ওই মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ইয়াকুল আলীর সাথে মাদ্রাসা সুপারের বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরবর্তী বছর মাদ্রাসার ঘর স্থানান্তর করে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের বসন্তেরপাড়া মৌজায় ক্রয় করা জায়গায় ঘর স্থাপন করে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা হয়।
সাবেক সভাপতি ইয়াকুব আলীর সাথে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আতাউর রহমানের বিরোধ আরও চরম পর্যায়ে পৌছায়। একপর্যায়ে ইয়াকুব আলী মাদ্রাসা স্থানান্তরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ওই সাবেক সভাপতি গত শনিবার সকালে লোকজনসহ মাদ্রাসা ঘর ভেঙ্গে টিন, আসবাবপত্র গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এতে মাদ্রাসাটিতে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মক ভাবে বিঘ্ন ঘটছে।
মাদ্রাসার মাওলানা সুপার আতাউর রহমান জানান, মাদ্রাসায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শিক্ষা কার্যক্রম চলছিলো। হঠাৎ করে সাবেক সভাপতি মাদ্রাসার আধিপত্য নিজের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে মাদ্রাসা বন্ধের সুযোগ নিয়ে ভাড়াটিয়া লোকজনসহ এসে মাদ্রাসার ঘরসহ আসবাব ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ইয়াকুব আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, মাদ্রাসার ঘর স্থানান্তরের বিষয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিলো, সে সব মিটে গেছে। তাই ঘর ভেঙ্গে আগের স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার জানান, মাদ্রাসার ঘর ভেঙ্গে লুট করার ব্যাপারে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করা হয়েছিলো লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে দাখিল মাদ্রাসা ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়ার কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। আজ রোববার মাদ্রাসায় শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় শিক্ষার্থীরা এসে ফিরে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।