তাজুল ইসলাম রেজা, সাদুল্লাপুর
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় ভূমিহীন পরিবারের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে নাইম মিয়া নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে সম্প্রতি থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। এতে আসামি পক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে বাদিকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে নিয়ে মারধর এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির মামলা দায়ের করে। এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ দ্রুত ধর্ষক নাইমকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
আজ (শনিবার, ২৬ জুলাই) সাদুল্লাপুর পাবলিক লাইব্রেরী এন্ড ক্লাবের সামনে গাইবান্ধা-সাদুল্লাপুর সড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন ভূমিহীন নেতা কামরুল ইসলাম ও খলিলুর রহমান, স্থানীয় ব্যবসায়ী আজাহার আলী, উপজেলা জাসাসের নেতা মাছুদ মিয়া, ভিকটিমের নানা, বাবা ও মা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, উপজেলার জয়েনপুর গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে নাইম মিয়া একই গ্রামের এক কিশোরীকে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পরে। পরে ধর্ষক নাইম ও তার পরিবার লোকজন বিবাহ করার প্রলোভন দেখায়ে ওই কিশোরীর গর্ভপাত ঘটায়। এ নিয়ে কিশোরীর মা বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আর এই মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য ধর্ষকের বাবা শহীদ মিয়া ও তার লোকজন বাদি জেলেখা বেগম এবং তার ভাগনি জামাইকে পরিকল্পিতভাবে রাস্তা থেকে উঠিয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত জেলেখাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে উল্টো জেলেখাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরি মামলা দায়ের করেন শহীদ মিয়ার স্ত্রী শারমিন আক্তার।
বক্তারা আরও বলেন, রহস্যজনকভাবে ধর্ষককে গ্রেফতার না করে এবং ধর্ষিতার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হওয়ায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুমিহীন পরিবারটি। বক্তারা অবিলম্বে ধর্ষক নাইমকে গ্রেফতার ও মিথ্যা চুরির মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার জানান, পালাতক থাকায় অভিযুক্ত ধর্ষক নাইমকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, তদন্ত শেষ না হলে চুরির মামলাটি মিথ্যা না সত্য তা বলা যাচ্ছে না।