সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি ►
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের নিজাম খাঁ গ্রামের গৃহবধূ মোরশেদা বেগমের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। আজ শনিবার বিকালে নিজ শয়ন ঘরে শাড়ির ওড়না পেঁচিয়ে টুইয়ের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্বহত্যা করে মোরশেদা। তিনি ওই গ্রামের শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী এবং এক সন্তানের জননী।
জানা গেছে, ১০ বছর আগে ঢাকায় গার্মেন্সে চাকরি করার সুবাদে মোরশেদার সাথে বিয়ে হয় শাহজাহান মিয়ার। মোরশেদার বাড়ি চট্টগ্রামে। দীর্ঘদিন হতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। ঘটনার দিনও তাদের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। এরই এক পর্যায় মোরশেদা সবার অজান্তে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের সুরুতহাল তৈরি করেছে।
থানার ওসি মো. মাহবুব আলম জানান, নিহতের বাবা-মার সাথে যোগাযোগ চলছে। তাদের সাথে কথাবার্তার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়ে। এ ব্যাপারে থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি ►
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের তালুকবাজিত গ্রামের নিজঘর থেকে আন্না আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আন্না আক্তার কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার রূপচান আলীর মেয়ে। এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আন্না আক্তারের সঙ্গে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের তালুকবাজিত গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে লাল বাবুর বিয়ে হয় ১৫ বছর আগে। তাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। লাল বাবু সৌদি আরবে থাকেন। তিন মাস আগে ছুটিতে বাড়ি আসেন লাল বাবু। বাড়িতে আসার পর অন্য এক মহিলার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন লাল বাবু। এ নিয়ে পরিবারে তাদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া বিবাদ হতো। এরই একপর্যায়ে সোমবার রাত ১০টার দিকে আন্না আক্তারকে তার নিজ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় দুই মেয়ে। তাদের কান্নাকাটিতে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আন্নার মরদেহ ঝুলতে দেখে সুন্দরগঞ্জ থানায় খবর দেয়। সকালে মরদেহ উদ্ধারের সময় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ থানায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।