সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি►
সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অন্যায়ের প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসী কাজে বাঁধা দেয়ায় উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক মোজাফফর হোসেনকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার (২২ জুলাই) উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের বেকাটারি গ্রামের বাবুর মোড় নামক স্থানে। মোজাফফর উত্তর বেকাটারি গ্রামের হাবিজার রহমানের ছেলে।
অভিযোগে জানা গেছে, গত একমাস আগে পার্শ্ববর্তী সাদুল্ল্যাপুর উপজেলার কিশামত হামিদ গ্রামের সুরুজ্জামান মিয়ার ছেলে মোতালেব মিয়া রাতের অন্ধকারে বালারছিড়া-বামনডাঙ্গা সড়কের বেকাটারি নামক স্থানে এক নারী পথচারীর ল্যাপটপ ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
সাংবাদিক মোজাফফর ওই নারীর ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে তাকে ফিরে দেয় এবং তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। এরপর থেকে বখেটে মোতালেব তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ঘটনার দিন শুক্রবার (২২ জুলাই) মোজাফফর ডোমেরহাট বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার সময় বাবুর মোড় নামক স্থানে পৌচ্ছলে ওই বখেটে তাকে দেখে তার নিকট থাকা ছুরি দিয়ে সাংবাদিক মোজাফফরকে আঘাত করে।
এতে মোজাফফরের নাকের মধ্যে একটু কেটে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করার জন্য চেষ্টা করলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসী, নারী ধর্ষণ ও মাদক সেবনের অপরাধে মোতালেবের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
অভিযোগকারী মোজাফফর হোসেন জানান, তার চলাফেরা করা এখন অত্যন্ত ঝকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তদন্ত সাপেক্ষে অতি দ্রুত তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী মামুন মিয়া জানান, সাংবাদিক মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাবুর মোড়ে আসা মাত্রই মোতালেব তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। সাংবাদিক কৌশলে বেঁচে যায়। পরে উপস্থিত সকলে তাকে আটক করার চেষ্টা করলে সে পালিয়ে যায়।
উপজেলার রামজীবন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছামসুল হুদা সরকার জানান, মোতালের একজন বখেটে ও সন্ত্রাসী ছেলে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত নানাবিধ অভিযোগের কারনে তাকে জেল খাটতে হয়েছে। মোজাফফরের নিরাপত্তার কারণে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া একান্ত প্রয়োজন।
থানার ওসি কে এম আজমিরুজ্জামান জানান, সাংবাদিকের অভিযোগটি তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।