সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি ►
সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পূর্ব শক্রতার জের ধরে সংঘর্ষে আহত বিএনপি নেতা ইলিয়াস মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। ঈদের দিন শনিবার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ মজিবর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। ইলিয়াস সবানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র খানাবাড়ি গ্রামের আব্দুল ব্যাপারীর ছেলে ও সর্বানন্দ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে খানাবাড়ি এলাকায়।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া মৃত্যুর পূর্বে আহত ইলিয়াসের বক্তব্য থেকে জানা গেছে, প্রতিবেশি মজিবর রহমানের ছেলে যুবলীগ নেতা সুমন মিয়া, ডাকুয়ার ছেলে জোবাইয়েরসহ আরও চারজন মিলে লোহার রড় দিয়ে পিঠিয়ে তার হাত ও পা ভেঙে দেয়। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রংপর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে ইলিয়াসের সাথে সুমনের বাবা মজিবর রহমানের বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। এরই জের ধরে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুল ইসলাম প্রামানিক বলেন, ইলিয়াস সর্বানন্দ ইউনিয়নের বিএনপির একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন। যুবলীগ ও আওয়ামীল নেতাকর্মীরা ইলিয়াসকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে দীর্ঘদিন হতে হয়রানি করে আসছিল। শেষ পর্যন্ত তারা তাকে পিঠিয়ে হত্যা করেছে। লাশ দাফনের পূর্বে আসামিদের গ্রেপ্তার না করলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারী দেন বিএনপির সদস্য সচিব।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক বাবুল আহমেদ বলেন, ঘটনার পর পরই পুলিশকে আবগত করা হয়েছে। পুলিশের ভুমিকা সন্তোষ জনক ছিল না এবং সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ হয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
থানার ওসি আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। মৃত্যুর খবরের পর মজিবর রগমান নামের এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। শনিবার রাত ১১টা পর্যন্ত লাশ বাড়িতে পৌচ্ছেনি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।