Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৩-১০-২০২৩, সময়ঃ সন্ধ্যা ০৬:২৫

সুন্দরগঞ্জে ১৭৪ টেলিফোন সংযোগের মধ্যে চালু ১৬টি

সুন্দরগঞ্জে ১৭৪ টেলিফোন সংযোগের মধ্যে চালু ১৬টি

সুন্দরগঞ্জ টেলিফোন অফিস। ছবি : মাধুকর

এ মান্নান আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ

নাই টেলিফোন, নাই-রে পিয়ন, নাই-রে টেলিগ্রাম বন্ধুর কাছে মনের খবর কেমনি পাঠাইতাম জনপ্রিয় এই গানের সাথে টেলিফোন অফিসের একটি সম্পর্ক রয়েছে। মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইজের কারনে অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত টেলিফোন লাইন সমুহ বন্ধ হয়ে গেছে। সে কারণে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার টেলিফোন অফিসটি এখন ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

টেলিফোন অফিসের ব্যবহৃত সম্পদ সমুহ এখন পরিত্যক্ত হিসেবে পরিনত হচ্ছে। ঝাউ-জঙলে ভরে গেছে অফিসের জায়গা জমি। বর্তমানে অফিসে লাইনম্যান হিসেবে আব্দুল মতিন মিয়া এবং নিখিল চন্দ্র বর্মন কর্মরত রয়েছেন। তারা নিয়মিত অফিসে আসলেও তাদের কোন কাজ নাই। 

লাইনম্যান নিখিল চন্দ্র বর্মন জানান, আজ থেকে ১৫ বছর আগে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরসহ ব্যক্তিগত মিলে মোট ১৭৪টি টেলিফোন লাইনের সংযোগ ছিল। বর্তমানে এর সংখ্যা দাড়িয়ে ১৬টি। মাঝে মাঝে তা ব্যবহার করেন গ্রাহকগণ। উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক তারা দায়িত্ব পালন করছেন। তার দাবি সরকারি দপ্তর সমুহে টেলিফোন সংযোগ চালু রাখা দরকার। কারন এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। সেক্ষেত্রে অফিসটি চালু থাকত এবং ভাল ভাবে কার্যক্রম চলত।

স্থানীয় বৗর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম ভাষ্য, টেলিফোন অফিসটি প্রায় আড়াই বিঘা জমির উপর অবস্থিত। দুই কক্ষ বিশিষ্ট ছ্টো একটি দু’তলা ভবন রয়েছে। বাকী জমিগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ভবনটি নিয়মিত ব্যবহার না হওয়ায় দিন দিন ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। বর্তমানে ঝাউ-জঙলে ভরে গেছে। অফিসটি সংরক্ষণের জন্য সরকারি ভাবে জরুরী ভিত্তিত্বে ব্যবস্থা নেয়া একান্ত প্রয়োজন। তা না হলে জমি-জমা বেহাত হয়ে যেতে পারে। 

টেলিফোন লাইন ব্যবহারকারি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানান, এক সময় ব্যাপক হারে টেলিফোন লাইন ব্যবহার করতাম। এখন মোবাইল, হোয়াটআপ, ই-মেইল চালু হওয়ায় আর টেলিফোন ব্যহার করা হয় না। টেলিফোন ব্যবহারের ভাল দিক হচ্ছে, বিল কম আসে, নিরিবিলি কথা বলা যায়। কিন্তু এখন টেলিফোন ব্যবহার করতে আর মন চায় না।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. মাসুদুর রহমান বলেন সময়ের সাথে তালমিলে চলতে গিয়ে, টেলিফোনে আর কথা বলা হয় না। যেহেতু অফিসটি সরকারি সে কারনে প্রতিটি সরকারি দপ্তরে টেলিফোন চালু রাখা দরকার। বিষয়টি নিয়ে উপর মহলে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad