সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি►
নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের নব নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক সৈয়দপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেছেন। আজ শনিবার (২০ জানুয়ারী) বেলা ১২ টায় ইকু হেরিটেজ হোটেল এন্ড রিসোর্টের হলরুমে এর আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি এমপি আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আমি আগামীর পথচলায় দিক নির্দেশনা ও পরামর্শের জন্যই সংবাদ কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জে বৈষম্যহীন সমান্তরাল উন্নয়ন করতে চাই। এক্ষেত্রে জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় বেশি প্রয়োজনীয় কাজকে প্রাধান্য দিয়ে এগুতে হবে।
এই আহ্বানের আলোকে বক্তব্য বলেন, সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি সাকির হোসেন বাদল, প্রথম আলোর সৈয়দপুর ও পার্বতীপুর প্রতিনিধি এম আর আলম ঝন্টু, দৈনিক দাবানল প্রতিনিধি মোতালেব হোসেন হক প্রমুখ।
বক্তারা বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো সৈয়দপুর শহরের মধ্যে নির্দিষ্ট স্টপেজ বা যাত্রী ছাউনি না থাকায় দূরপাল্লার নৈশকোচে যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যত্রতত্র বাসগুলো দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানামা করছে। দীর্ঘ সময় খোলা আকাশের নিচে রাস্তার উপর অপেক্ষা করতে হয়।
এসময় প্রকৃতির ডাকে সারা দেয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকায় চরম বিব্রতকর অবস্থায় কাটাতে বাধ্য হয় নারীরাসহ বয়স্করা। দীর্ঘদিন থেকে এই দূরাবস্থা বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য একটা নৈশকোচ স্টান্ড নির্ধারণ করার দাবী জানান। এক্ষেত্রে শহরের উত্তরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম সংলগ্ন বা মধ্যস্থলে সৈয়দপুর পাইলট স্কুল মাঠে অথবা বাইপাস সড়কের নিরাপদ কোন স্থানে এটি করার পরামর্শ দেন।
সেই সাথে সৈয়দপুর বলে বিমানবন্দরের উন্নয়ন করে আন্তর্জাতিকমানে উত্তরণসহ অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের অর্থ দ্রুত প্রদানের ব্যবস্থা করা, রেলওয়ে হাসপাতাল কেন্দ্রীক মেডিকেল কলেজ দ্রুত বাস্তবায়ন, শিক্ষা নগরী সৈয়দপুরে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা, শ্রমিক অধ্যুষিত এই শহরের পেশাগত মান উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন ও শহরের যানজট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
এর প্রেক্ষিতে এমপি সিদ্দিকুল আলম কোচ স্ট্যান্ড করার ক্ষেত্রে সর্ব প্রথম উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দেন। এজন্য সকলকে নিয়ে একটি কমিটি করে উপযুক্ত জায়গা নির্ধারণের কথা জানান। আর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে সৈয়দপুর পৌর এলাকার রাস্তার উন্নয়নে। একই সাথে অন্যান্য বিষয়গুলোও গুরুত্বের সঙ্গে সমাধানে ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকবে বলে জানান।
তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছর সম্পূর্ণভাবে দূর্নীতিমুক্ত থেকে উন্নয়নের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অবদান রাখতে চাই। রেলওয়ে ও পৌরসভার মধ্যের দ্বন্দ্ব দূর করে সার্বিক সমস্যা নিরসন, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস রুখে নিরাপদ ও বাণিজ্য বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং কিশোরগঞ্জকে পৌরসভায় উন্নীত করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।