মাধুকর ডেস্ক►
আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-অপহরণ, নির্যাতন, খুন ও জুলাইয়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে হাজিরের পর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বিচারপতি মো. গোলাম মোর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
একই সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের হাজিরের জন্য সাত দিনের মধ্যে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুমের দুই মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যা এবং দুটি গুমের মামলায় অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বুধবার সকাল ৮টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এরপর তিন মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানি হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
সকাল সোয়া ৭টায় কড়া নিরাপত্তায় প্রিজন ভ্যানে করে ১৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। সাড়ে ৭টায় প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে তাদের ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা।
এদিকে, সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার সময় রাজধানীর কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টনসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোর থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয় ট্রাইব্যুনালসহ হাইকোর্টের মাজার গেট এলাকায়। সেখানে পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি বিজিবি-সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও দেখা গেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যা এবং দুটি গুমের মামলায় অভিযুক্ত রয়েছেন ২৫ বর্তমান ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জন। এই তিন মামলার ৩২ জন অভিযুক্তের মধ্যে আছেন পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও র্যাবের সাবেক তিন মহাপরিচালক।
৮ অক্টোবর অভিযোগপত্র গ্রহণের পর ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেন।বং পরোয়ানা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন পুলিশ মহাপরিদর্শককে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছেও পরোয়ানার অনুলিপি পাঠানো হয়। বুধবার কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।