- মাধুকর প্রতিনিধি
- ২ ঘন্টা আগে
সুদানে নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় শান্তিরক্ষীর মরদেহ ঢাকায়
মাধুকর ডেস্ক►
সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় শান্তিরক্ষীর মরদেহ দেশে এসেছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তাঁদের বহনকারী উড়োজাহাজটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রবিবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসস্থ কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠান শেষে তাদের নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টার যোগে প্রেরণ পূর্বক যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে বলেও জানানো হয়।
নিহত শান্তিরক্ষীরা হলেন- নাটোরের করপোরাল মো. মাসুদ রানা, কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম ও সৈনিক শান্ত মণ্ডল, রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা, কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া। এর মধ্যে নিহত সবুজ মিয়া (২৮) গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট ভগমানপুর পূর্ব পাড়া পাড়ার মৃত হাবিদুল ইসলামের ছেলে।
এদিকে এ হামলায় আহত ৯ জন শান্তিরক্ষী কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অবস্থিত আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে তারা সকলেই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
এর আগে গেল ১৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় ঘাঁটিতে দায়িত্বরত ৬ সেনাসদস্য নিহত হন। এছাড়া ৮ সেনাসদস্য আহত হন।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন শুরু হলেও বাংলাদেশ এতে যুক্ত হয় ১৯৮৮ সালে। ইরান-ইরাক সামরিক পর্যবেক্ষক মিশনে ১৫ জন সদস্য পাঠানোর মাধ্যমে এ যাত্রার সূচনা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের ১০টি দেশে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করছে। প্রথমবারের মতো ডিআর কঙ্গোতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তিনটি হেলিকপ্টারও মোতায়েন করা হয়েছে।
শুরু থেকে এ পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ১৬৮ জন সদস্য প্রাণ দিয়েছেন।