বর্ষাকালে যেভাবে সুস্থ থাকবেন

মাধুকর ডেস্ক►

বর্ষাকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়। এ সময় বৃষ্টির পানি জমে মশার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এতে বিভিন্ন রোগের প্রার্দুভাব বেড়ে যায়। যেমন ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকনগুনিয়া, টাইফয়েডসহ আরও অনেক রোগ দেখা দিতে পারে। তাই বর্ষাকালে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

আসুন জেনে নিন, বর্ষা মৌসুমে কীভাবে সুস্থ থাকবেন–

১. বর্ষাকালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এতে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। বর্ষাকালে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। ফলে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য রোগজীবাণুর সংক্রমণে দেখা দিতে পারে। তাই বর্ষাকালে খাদ্যতালিকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খাবার যেমন বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি ফল, রসুন, আদা, হলুদ এবং সবুজ শাকসবজি রাখতে পারেন।

২. বর্ষাকালে জীবাণু খুব দ্রুত ছড়ায়। তাই সুস্থ থাকার জন্য ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। যেমন নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তা না হলে জীবাণু চোখ, নাক ও মুখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। খাওয়ার আগে বা বাহির থেকে আসার পর কিংবা খাবার পরিবেশনের আগে  হাত ধুয়ে নিন। এতে বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে। এ সময়টাতে হাত আর পায়ের নখ পরিষ্কার রাখুন, প্রতিদিন গোসল করুন এবং পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করুন।

৩. বিশুদ্ধ পানি পান করুন। বর্ষাকালে সহজেই পানি দূষিত হয়। এতে কলেরা, টাইফয়েড এবং ডায়রিয়ার মতো রোগ হয়। বিশুদ্ধ পানি পান করলে পানিবাহিত রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। যে কোনো জায়গায় গিয়ে নিশ্চিত না হয়ে পানি পান করবেন না। এ ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় ব্যাগে পানি রাখুন।

৪. বর্ষাকালে রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলুন। এসব খাবার প্রায়ই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হয়ে থাকে। এতে বদহজম থেকে থেকে শুরু করে অন্যান্য হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার ঘরের খাবার তৈরি করার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকুন। স্বাস্থ্যকর উপায়ে ঘরের খাবার তৈরি করুন। এ ছাড়া ঠান্ডা বা কাঁচা খাবারের পরিবর্তে সতেজ ও রান্না করা খাবার কেতে পারেন।

৫. বর্ষাকালে মশা বৃদ্ধি পায়। এ সময় মশার কারণে অনেক রোগ হতে পারে।  ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া মতো রোগের বাহক মশা। তাই মশার কামড় থেকে দূরে থাকার জন্য মশা প্রতিরোধক স্প্রে ও কয়েল ব্যবহার করুন। মশার বংশবৃদ্ধি রোধ করতে মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থান, ডাবের খোল, ক্যান, টায়ার, ফুলের টবে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করুন। ঘরের জানালা ও দরজায় জালের পর্দা লাগান। রাতে মশারি ব্যবহার করুন।

৬. নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করুন, বিশেষ করে বাথরুম এবং রান্নাঘর। ঘরের ময়লা আবর্জনা সঠিকভাবে বাইরে ফেলে দিন। বাড়ি ও বাড়ির আশপাশের ড্রেনে পানি যেন জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ঘরের মেঝে পরিষ্কার রাখার জন্য জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি