• মাধুকর প্রতিনিধি
  • ২ ঘন্টা আগে

গাইবান্ধা পৌরসভার ১০৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা



নিজস্ব প্রতিবেদক►

গাইবান্ধা পৌরসভার ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য ১০৪ কোটি ৮২ লাখ ৯৮ হাজার ১০৭ টাকা বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন) দুপুরে পৌরসভার কনফারেন্স হলে এক অনুষ্ঠানে এ বাজেট ঘোষণা করেন গাইবান্ধা পৌরসভার প্রশাসক এ.কে.এম হেদায়েতুল ইসলাম। 

গাইবান্ধা পৌরসভা আয়োজিত ‘শহর সমন্বয় কমিটির (টিএলসিসি) সভা এবং উন্মুক্ত বাজেট আলোচনা’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসকেএস ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নাধীন রাইজিং ফর রাইট্স্ প্রকল্প।

অনুষ্ঠানে পৌরসভার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র সাহা ১০৪ কোটি ৮২ লাখ ৯৮ হাজার ১০৭ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন। এতে রাজস্ব ও উন্নয়ন খাতে মোট আয় ধরা হয়েছে ১০৪ কোটি ৮২ লাখ ৯৮ হাজার ১০৭ টাকা এবং মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৪ কোটি ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ফলে বাজেটে ৭৫ লাখ ১৮ হাজার ১০৭ টাকা উদ্বৃত্ত দেখানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক ও গাইবান্ধা পৌরসভার প্রশাসক এ.কে.এম হেদায়েতুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হানিফ সরদার, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শহীদুজ্জামান শহীদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পৌরসভার সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, নারী ফোরামের সদস্য, টিএলসিসি সদস্য, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।

মুক্ত আলোচনায় পৌরবাসীর পক্ষে জলাবদ্ধতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শহরের প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা দ্রুত সমাধানের দাবি তোলা হয়। একইসঙ্গে, শহর পরিচ্ছন্নতায় নিয়োজিত কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা, বিশুদ্ধ পানি ও বাসস্থানের নিশ্চয়তার দাবি জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে পৌর প্রশাসক এ.কে.এম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, পৌরবাসীর জীবনমান উন্নয়নে ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাস্তাঘাট সংস্কার, সড়কবাতি ও নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির বিভিন্ন খাতে বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পৌরবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় প্রস্তাবিত বাজেটের অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় করতে পারলেই পৌরবাসী ঘোষিত বাজেটের সুফল পাবে। পৌর প্রশাসক আরও বলেন, নাগরিক সচেতনতা ছাড়া পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত শহর গড়া সম্ভব নয়। বদঅভ্যাস ত্যাগ করে সকলকে নিজের ও শহরের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হবে।