• মাধুকর প্রতিনিধি
  • ৫ ঘন্টা আগে

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিলেন ইলন মাস্ক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক►

মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। মাস্ক এই দল গঠনকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে চলমান দ্বন্দ্বের সর্বশেষ অধ্যায় হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ইলন মাস্ক রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও গতকাল সোমবার তিনি আবারও রাজনীতি নিয়ে সরব হয়ে উঠেছেন। 

রবিবার (৬ জুলাই) বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে।

ইলন মাস্ক তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ঘোষণা দেন, তিনি “আমেরিকা পার্টি” নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন এবং এটিকে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের দুই দলীয় ব্যবস্থার প্রতি এক চ্যালেঞ্জ হিসেবে বর্ণনা করেন।

মাস্ক আরও বলেন, আমরা আসলে একদলীয় শাসনের মধ্যেই বাস করছি, যেখানে অপচয় আর দুর্নীতির মধ্য দিয়ে দেশকে দেউলিয়া করে দেওয়া হচ্ছে। আজ আমেরিকা পার্টির জন্ম আপনাদের স্বাধীনতা ফেরত দেয়ার জন্য।

দলটি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হয়েছে কি না, মাস্ক দলটির নেতৃত্ব দেবেন কি না, কিংবা এর কাঠামো কেমন হবে? এসব বিষয়ে মাস্ক বিস্তারিত কিছু জানাননি।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন থেকে বেরিয়ে আসার পর তার বাজেট পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেন মাস্ক। এরপরই মাস্ক প্রথমবার নতুন দল গঠনের ইঙ্গিত দেন। ট্রাম্পের সেই বিরোধের সময় মাস্ক এক জনমত জরিপ চালান, যাতে তিনি এক্স ব্যবহারকারীদের জিজ্ঞাসা করেন, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দল প্রয়োজন কিনা।

মাস্কের ১২ লাখ অনুসারীর মধ্যে যারা ভোট দিয়েছেন, তাদের মধ্যে ২:১ ব্যবধানে মানুষ একটি নতুন রাজনৈতিক দল চায়।

গত মাসে, মাস্ক ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট সম্পর্কে প্রকাশ্যে সমালোচনা করে, এটিকে কুৎসিত অপচয়পূর্ণ বাজেট হিসেবে উল্লেখ করেন। তবে ট্রাম্প এটিকে তার বড় ও সুন্দর বিল হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।

উল্লেখ্য, ইলনমাস্ক ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের একজন গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক ছিলেন, এবং তাকে পুনঃনির্বাচিত করতে তিনি ২৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ও করেন। ইলন মাস্ক ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিষেক অনুষ্ঠানে একটি উদযাপনমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন।

এদিকে, রিপাবলিকান পার্টির সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, ট্রাম্প ও মাস্কের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি রিপাবলিকানদের ২০২৬ সালের কংগ্রেস নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ হতে পারে।