• মাধুকর প্রতিনিধি
  • ৩ ঘন্টা আগে

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গাইবান্ধায় স্মরণসভা



নিজস্ব প্রতিবেদক►

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গাইবান্ধায় স্মরণসভা হয়েছে।

আজ (সোমবার, ১৪ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রশীদ সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা সভাপতি সরওয়ার হোসেন শাহিন ও কেন্দ্রীয় সদস্য রাগীব হাসান চৌধুরী হাবুল। 

সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদার রহমান মুকুল। এছাড়াও সদর উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এ স্মরণসভায় অংশ নেন। 

স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারি সেবা তৃণমূলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য উপজেলা পরিষদ গঠন করেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করেছেন, শুক্রবার ছুটির দিন ঘোষণা করেছেন, মসজিদের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করে দিয়েছিলেন। তার শাসনামলে দেশে দুর্নীতি ছিল না, মানুষ শান্তি ও নিরাপদে বসবাস করতেন। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো ছিল। তিনি দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন যা আজও মানুষ মনে রেখেছে।

বক্তারা আরও বলেন, এরশাদের শাসনামল নিয়ে এখনো সাধারণ মানুষ প্রশংসা করে। কিন্তু এক শ্রেণির রাজনীতিকরা রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে তাকে স্বৈরশাসকের তকমা দিয়ে ফায়দা লুটতে চায়। আজ দেশের মানুষের কাছে স্পষ্ট সত্যিকারের স্বৈরাচার-স্বৈরশাসক কারা? কারা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, বিচারব্যবস্থা, শিক্ষা-সংস্কৃতি নিয়ন্ত্রণ করছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এরশাদের বিরুদ্ধে এখনকার শাসকদের মতো ভূরিভূরি অভিযোগ নেই। আগামীতে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চেতনা ও আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা।

শেষে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশবাসীর জন্য দোয়া করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।