• মাধুকর প্রতিনিধি
  • ৪ ঘন্টা আগে

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রেকর্ড পরিমাণ চাল আমদানি



সুলতান মাহমুদ,দিনাজপুর►

দেশের বাজারে চালের দাম স্বাভাবিক রাখতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ১০ দিনে রেকর্ড পরিমাণ চাল আমদানি হয়েছে। ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত ৩৩২টি ভারতীয় ট্রাকে মোট ১৪ হাজার ৪৯৫ মেট্রিকটন চাল এসেছে।

আজ (শনিবার, ২৩ আগস্ট) দুপুরে হিলি রাজস্ব কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, চালের ওপর শুল্ক ৬৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করায় আমদানির গতি বেড়েছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) থেকে এসব চাল খালাস শুরু হয়। এর আগে শুল্ক জটিলতায় বাজারে চাল ছাড়া সম্ভব হয়নি। তবে নতুন চাল বাজারে আসায় ইতোমধ্যেই পাইকারি ও খুচরা বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে আঠাশ জাতের চাল কেজি প্রতি ৫৮ টাকা, স্বর্ণা ৫০ টাকা এবং জিরাশাইল ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাহাদুর বাজারের চাল ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, “আমরা আগে পাইকারিতে চাল কম দামে পাচ্ছিলাম না। তবে নতুন চাল আসায় দাম কিছুটা কমেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাজার আরও স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।” 

একই বাজারের ক্রেতা রওশন আরা বেগম বলেন, “গত মাসে চালের দাম আমাদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে এখন দাম কিছুটা কমেছে। আরও কমলে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পাবে।”

ভোক্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, “চালের বাজারে অস্থিরতা সাধারণ মানুষকে কষ্টে ফেলেছিল। হিলি দিয়ে চাল আসায় অন্তত দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকার যদি নিয়মিত এভাবে আমদানি চালু রাখে তবে আর সংকট হবে না।”

দিনাজপুর লালবাগ ওএমএস চাল নিতে আসার সাহেরা বেগম বলেন, সরকার ওএমএস চাল সহ ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চালের যে কর্মসূচি সেটি চলমান থাকার কারণে এখন আমাদেরকে আর বাজার যেতে চান কিনতে হচ্ছে না।

এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা (কাস্টমস) মো. নিজামুদ্দিন বলেন, “সরকার চালের ওপর শুল্ক ৬৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করায় ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে আমদানিতে আগ্রহী হয়েছেন। ফলে খুব স্বল্প সময়ে রেকর্ড পরিমাণ চাল আমদানি সম্ভব হয়েছে। আমরা দ্রুত খালাস নিশ্চিত করছি যাতে দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে।”