- মাধুকর প্রতিনিধি
- ৪ ঘন্টা আগে
জনবল সংকটে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত
গোপাল মোহন্ত, গোবিন্দগঞ্জ►
চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় জনবল এবং পর্যাপ্ত ওষুধের সংকট; তার ওপর ৫০ শয্যার হাসপাতাল ১০০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার খবরে বেড়েছে রোগীর চাপ। এতে ব্যাহত হচ্ছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম। ফলে কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থান। উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রায় ৭ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি মহাসড়কের দুর্ঘটনার রোগীর চাপ সামলাতে হয় হাসপাতালটিকে। আশপাশে তেমন কোনো চিকিৎসাকেন্দ্র না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের একমাত্র ভরসাস্থল এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদ রয়েছে ১১টি; এর মধ্যে গাইনি, সার্জারি ও অ্যানেসথেসিয়া পদে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। অন্যদিকে মেডিকেল অফিসার পদসংখ্যা ৮ জন থাকলেও রয়েছেন ৪ জন। এছাড়াও নার্স, টেকনিশিয়ান, আয়া ও পরিচ্ছন্ন কর্মীসহ বিভিন্ন পদে জনবল সংকট রয়েছে।
ছেলের চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসা উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের মালটিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, “ছেলের কয়েকদিন ধরে জ¦র। হাসাপাতালে এসেছিলাম শিশু ডাক্তার দেখানোর জন্য। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চিকিৎসা নেয়ার পর জানতে পারলাম এই হাসপাতালে কোনো শিশু বিশেষজ্ঞই নেই। “শুধু বিল্ডিং চকচকা হলে চলবে না, সেবাদানের সকল ব্যবস্থাও চকচকা হতে হবে। রোগীদের কাক্সিক্ষত সেবা দিতে অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ সেট-আপ নিয়ে ১০০ শয্যার হাসপাতাল চালু করতে হবে।”-এসব কথাই বলছিলেন সামসুল আলম নামে রোগীর এক স্বজন। উপজেলা স্কাউট দলের সদস্য রক্সি বলেন, “নতুন ভবনে উঠলেও জনবল সংকটের কারণে হাসপাতালের ওয়াশরুমসহ সামগ্রিক পরিবেশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকছে না।”
এদিকে ১০০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার খবরে হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ। ১০০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার জন্য নতুন একটি ভবনে উঠলেও আরও কিছু ভবনের কাজ বাকি রয়েছে। এছাড়া বাড়তি দ্বিগুণ-তিনগুণ রোগীর চাপ ৫০ শয্যার বরাদ্দ দিয়েই সামলাতে হচ্ছে। ফলে খাবার, ওষুধসহ সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মাসুদার রহমান আকন্দ বলেন, “স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার হলেও এখানে ১০০-১৫০ রোাগীর চাপ সামলাতে হয়। নতুন ভবন হওয়ার পর অনেকের ধারণা এখানে ১০০ শয্যার সকল সুবিধা যোগ হয়েছে। সে কারণে আরো বেশি রোগী আসছে। তারা ভর্তি হয়েই বেড, ওষুধ ও খাবার দাবি করেন। কিন্ত ৫০ শয্যার সুবিধা বলবৎ থাকায় অতিরিক্ত বেড থেকে শুরু করে খাবার ও ওষুধ দেয়া সম্ভব হয় না।” তিনি আরও বলেন, “১০০ শয্যার জন্য আরো কিছু ভবনের কাজ অসম্পন্ন রয়েছে। এখনও বুঝে পাওযা যায়নি। পেলেই ১০০ শয্যায় পদায়নের জন্য আবেদন করা হবে।”