• মাধুকর প্রতিনিধি
  • ১৪ ঘন্টা আগে

গাইবান্ধায় কুপিয়ে যুবকের কবজি বিচ্ছিন্ন, গ্রেপ্তার ৩

গাইবান্ধায় কুপিয়ে যুবকের কবজি বিচ্ছিন্ন, গ্রেপ্তার ৩—ছবি: মাধুকর।

নিজস্ব প্রতিবেদক►

গাইবান্ধায় রুবেল মিয়া (২৫) নামে এক যুবকের ডান হাতের কবজি কুপিয়ে কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় রুবেলের সঙ্গে থাকা বন্ধু মোশারফ রহমানও আহত হন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- গাইবান্ধা শহরের মধ্য ধানঘড়া এলাকার আকবর আলীর ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু (৪৬) ও সুলতান মিয়া (৩৬) এবং একই এলাকার নুর আলমের ছেলে রাকিব মিয়া (২৫)।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন। এর আগে, সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের শাপলা মিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়া রুবেল মিয়া গাইবান্ধা পৌর শহরের মুহুরিপাড়া এলাকার মোকাব্বর মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বন্ধু মোশারফ রহমানের সঙ্গে দেখা করতে শাপলা মিল এলাকায় যান রুবেল মিয়া। সেখানে পৌঁছাতেই পূর্বশত্রুতার জেরে সুখনগর এলাকার বাবুসহ ৫-৭ জন দুর্বৃত্ত প্রকাশ্যে অতর্কিতভাবে মোশারফ ও রুবেলের ওপর হামলা চালায়। এতে ধারালো দেশীয় অস্ত্র ‘বেকি’র প্রথম আঘাতেই তারা রুবেলের ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এরপর শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। স্থানীয়রা কাটাহাতসহ রুবেলকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে রেফার্ড করা হয়। আহত মোশারফকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় রাতেই রুবেলের বাবা মোকাব্বর মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় ১০ জনের নামসহ এতে আরও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ঘটনার পরপরই ৫ জনকে আটক করে পুলিশ।

আহত বন্ধু মোশারফ রহমান বলেন, আমাদের সঙ্গে বাবুর জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। আমার নিরীহ বন্ধুকে এভাবে কুপিয়ে হাতের কবজি কেটে দিয়েছে, আমাকেও তারা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই নারীসহ ৫ জনকে আটক করা হয়। পরে মামলার এজাহারে ও জিজ্ঞাসাবাদে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় রাতেই দুই নারীকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তিন আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।