• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৫-১২-২০২৫, সময়ঃ সন্ধ্যা ০৬:৫০

‘বিশ্বমানের নৌ নেতৃত্ব গঠনে মেরিন একাডেমিগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’

রংপুরের পীরগঞ্জে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, রংপুরে ৪র্থ ব্যাচের নটিক্যাল ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাডেটদের প্রি-সি ট্রেনিং সমাপনী কুচকাওয়াজ (গ্র্যাজুয়েশন প্যারেড) অনুষ্ঠান—ছবি: কুদ্দুস আলম।

কায়সার রহমান রোমেল►

বাংলাদেশের সমুদ্র অর্থনীতি ও বৈশ্বিক নৌপরিবহণ খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে মেরিন একাডেমিগুলোর অবদান অনস্বীকার্য- এমন মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) দেলোয়ারা বেগম।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, রংপুরে ৪র্থ ব্যাচের নটিক্যাল ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাডেটদের প্রি-সি ট্রেনিং সমাপনী কুচকাওয়াজ (গ্র্যাজুয়েশন প্যারেড) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ক্যাডেটদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

দুই বছরের একাডেমিক ও রেজিমেন্টাল প্রশিক্ষণ শেষে এ বছর মোট ৬১ জন ক্যাডেট অফিসার প্রি-সি সনদ অর্জন করেন। এর মধ্যে নটিক্যাল শাখায় ২৮ জন এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় ৩৩ জন ক্যাডেট রয়েছেন।

বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ শেষে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী ক্যাডেটদের মাঝে পদক বিতরণ করেন প্রধান অতিথি। সব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কৃতিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে ক্যাডেট জিলহাজুর রহমান অর্নব অর্জন করেন কমান্ড্যান্ট স্বর্ণপদক। এছাড়া নটিক্যাল বিভাগের সেরা ক্যাডেট হিসেবে খন্দকার সাবিতুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেরা ক্যাডেট হিসেবে মো. ওমর ফারুক এবং সেরা ওএলকিউ’র স্বীকৃতি হিসেবে মো. আবু তানজিম লাভ করেন কমান্ড্যান্ট রৌপ্যপদক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম বলেন, বৈশ্বিক মানসম্পন্ন মেরিন অফিসার ও ইঞ্জিনিয়ার তৈরিতে প্রশিক্ষণের গুণগতমান উন্নয়ন, দক্ষ প্রশিক্ষক নিয়োগ, আধুনিক প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম সংযোজন এবং অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা স¤প্রসারণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে দেশি ও আন্তর্জাতিক সমুদ্রগামী জাহাজে ক্যাডেটদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।

তিনি আরও বলেন, “মেরিন সেক্টরে আমাদের দক্ষ জনবল রয়েছে। এই সমুদ্র যোদ্ধাদের দক্ষতাকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করতে প্রয়োজন ধারাবাহিক কঠোর অনুশীলন ও আধুনিক প্রশিক্ষণ। আন্তর্জাতিক চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ নিশ্চিত হলে ক্যাডেটদের দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে, যা বেকারত্ব হ্রাসেও ভূমিকা রাখবে।”

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ একাডেমি প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন। পাশাপাশি ক্যাডেটদের নতুন কর্মজীবনের যাত্রা সাফল্যমণ্ডিত করার প্রত্যাশায় কেক কাটা ও ফটোসেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।