• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৯-৪-২০২৩, সময়ঃ দুপুর ০২:০১

রাণীনগরের বিলকৃষ্ণপুর গ্রামীণ সড়কটির বেহাল দশা 



নওগাঁ প্রতিনিধি ►

নওগাঁর রাণীনগরের বিলকৃষ্ণপুর বাজার হতে বোদলা পর্যন্ত গ্রামীণ রাস্তাটি বর্তমানে খানা খন্দে ভরা। দীর্ঘদিন সংস্কার কিংবা মেরামত না করায় শুষ্ক মৌসুমেই রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করা বিপদজনক হয়ে পড়েছে। এছাড়া এলাকাটি ধান উৎপাদনের বিখ্যাত হওয়ার কারণে রাস্তাটি খারাপ হওয়ার কারণে পরিবহনের সমস্যার কারণে কৃষকদের বাধ্য হয়ে অনেকটাই কম মূল্যে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে।  

সূত্রে জানা এলজিইডির আওতায় নির্মিত প্রায় ৩কিলোমিটারের এই গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে উপজেলার পূর্বাঞ্চলের বোদলা, তেবাড়িয়া, বিলপালশা, বিলকৃষ্ণপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষদের চলাচল করতে হয়। এই জনগুরুত্বপূর্ন গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে শুধুমাত্র নিত্যদিনের চলাচলই নয় প্রান্তিক পর্যায়ের শতাধিক কৃষকদের জমিতে উৎপাদিত প্রধান ফসল ধানসহ অন্যান্য কৃষি পণ্য পরিবহন করে স্থানীয় বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে চালান করতে হয়। দীর্ঘদিন রাস্তাটি সংস্কার কিংবা মেরামত না করায় বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে পুরো রাস্তাজুড়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ার কারণে ছোট ছোট যানবাহনে করে ধান পরিবহন করতেও চরম ভাবে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। এছাড়া উল্টে যাওয়ার ভয়ে হালকা মালামালসহ ভারী মালামাল পরিবহন করছে যানবাহনের চালকরা। যার কারণে ধান পরিবহনের দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে ধানের দাম মণ প্রতি ৫০-৮০ টাকা কম দামে কৃষকদের বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে করে ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে আর প্রান্তিক কৃষকরা নায্য মূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

বোদলা গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর রহমান মুহুরী বলেন বর্তমানে জনগুরুত্বপূর্ন গ্রামীণ রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। যদি এই সময়ে বৃষ্টি হয় তাহলে চলমান ইরি ধান কাটা ও মাড়াইয়ের এই মৌসুম ধান মাড়াই করে বিক্রয় এবং অন্যান্য কৃষি কাজ করাসহ পায়ে চলাচলও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার শহরের সুবিধা গ্রামে পৌছে দিতে দ্রুতই এই গ্রামীণ রাস্তাটির দিকে সুদৃষ্টি দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুদৃষ্টি কামনা করছি।

উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন বলেন ওই রাস্তাটি মেরামতের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছে। দ্রুতই রাস্তাটি মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।