- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ২-২-২০২৪, সময়ঃ সকাল ০৯:২৭
সাদুল্লাপুরে ১৪৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার
সাদুল্লাপুর প্রতিনিধি ►
সাদুল্লাপুর উপজেলার ১৪৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। এসব প্রতিষ্ঠানে শিগগিরই শহীদ মিনার নির্মাণের সম্ভাবনাও কম। প্রায় সব প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কথা, অর্থ পাবে কোথায়? এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণসহ সংস্কারকাজ সরকারি বরাদ্দে হলেও শহীদ মিনার নির্মাণের নির্দেশনা থাকে না বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলী মো. মেনাজ। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসব কাজের সঙ্গে শহীদ মিনার নির্মাণের নির্দেশনা সংযুক্ত করে দিলে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
যদিও নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা রয়েছে। তবে অনেক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ নির্দেশনা মানছে না। ফলে এবারও একুশে ফেব্রুয়ারিতে নিজ প্রতিষ্ঠানে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবে না শিক্ষার্থীরা। এ জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে নির্ধারিত হারে অর্থ বরাদ্দের দাবি চক শালাইপুর সিনিয়র মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলমগীর হোসেনের।
মায়ের ভাষার উপলব্ধি বোঝাতে শহীদ মিনার থাকা জরুরি বলে মনে করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ আজমি। তিনি বলেন, প্রতিবছর ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি পেরিয়ে যায়। তবুও সাদুল্লাপুরের সব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার হয়নি। কেন এমন হচ্ছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ না থাকায় সব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের কার্যক্রম পিছিয়ে আছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানা গেছে, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আওতায় উপজেলার ১২১টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫১টিতে শহীদ মিনার নেই। এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২২টি, কলেজ তিনটি। টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউশন দুটি ও মাদ্রাসা ২৪টি। ১৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার নেই ৯৩টিতে।
স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজে শহীদ মিনার করার বিষয়ে গত বছরের ৩১ আগস্ট মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় সব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। এ নির্দেশনা যেসব বিদ্যালয় মানেনি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, এখন নিজ উদ্যোগে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য প্রধান শিকক্ষ ও পরিচালনা কমিটিকে বলা হচ্ছে। তবে অল্প সময়ে নির্মাণে স্থানীয়দের এগিয়ে আসতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাওছার হাবিব বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের তাগিদেই বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ জরুরি। এ জন্য স্বাধীনতার সপক্ষে সবার এগিয়ে আসা উচিত। কারণ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই সঙ্গে শহীদ মিনার নির্মাণ করা ব্যয়বহুল। সে জন্য স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এলাকার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।