• মাধুকর প্রতিনিধি
  • এই মাত্র

সুন্দরগঞ্জে সেতু আছে, সড়ক নেই



তিস্তা আকন্দ, ‍সুন্দরগঞ্জ►

সেতু নির্মাণের ছয় মাস পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। যার কারণে সেতুর দুই পাশে বাঁশের চাটাই দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন এলাকাবাসী। সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি এলাকাবাসীর জন্য কোনো কাজে আসছে না। দ্রুত সেতুর সাথে সংযোগ সড়কের মাটি ভরাটের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ নিয়ে সেতু নির্মাণ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে কোনো প্রকার সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া গ্রামে ঘগোয়া খালের ওপর ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ কাজ শেষ হলেও গত ছয় মাসেও সেতুর দুই পাশে মাটি ভরাট করা হয়নি। সেতুর সাথে সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকাবাসি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে নির্মিত বাঁশের চড়াট দিয়ে শুধু মাত্র মানুষজন পারাপার করছেন। যাবাহন চলাচল করতে না পারায় জনগণের দূর্ভোগ বেড়ে গেছে। সেতুটি নির্মাণ ব্যয় প্রায় ৩৭ লাখ টাকা। 

স্থানীয় জুয়েল মিয়া বলেন, সেতু নির্মাণ করে কি লাভ। যদি সেতুত যাওয়ার সড়ক না থাকে। বর্তমানে গাড়িঘোড়া নিয়ে চলাচল করা করা কষ্ট হয়েছে এলাকাবাসির। তাছাড়া সেতুর কাজও বেশি ভাল হয় নাই।

তারাপুর ইউনিয়নের নেম্বর মজনু মিয়া বলেন, সেতু নির্মাণের পর ঠিকাদার সেতুর দুই পাশে মাটি ভরাট না করে চলে যায়। এলাকাবাসির চলাচলের জন্য বাঁেশর চড়াটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেতু নির্মাণের পর সংযোগ সড়কের জন্য ঠিকাদারকে বেশ কয়েকবার অনুরোধ করা হলেও কাজ হয় নাই। ফলে এলাকার বাসিন্দাদেরকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ঠিকাদার নুর মওলা বলেন, এখন সেতুর এলাকার চারপাশে পানি। সে কারনে মাটি ভরাট সম্ভাব হচ্ছে না। অল্প কিছু দিনের মধ্যে মাটি ভরাট করে দেয়া হবে। 

তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে ৬ মাস আগে। ঠিকাদার সেতু নির্মাণ করে চলে গেছেন। দুই পাশে মাটি ভরাটের কোন খবর নাই। এজন্য ঠিকাদারের সাথে মোবাইল ফোনে অনেকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মশিয়ার রহমান বলেন, ঠিকাদারকে এখনো বিল দেয়া হয়নি। মাটি ভরাট করে নিয়ে তাকে বিল দেয়া হবে।  তার সাথে যোগাযোগ চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। জনস্বার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।