• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৮-৬-২০২৩, সময়ঃ সকাল ০৯:০১

সুন্দরগঞ্জে ৬ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া



সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি ►

সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৫০ হাজার গ্রাহকের ৬ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। বিভিন্ন কৌসল অবলম্বন করেও বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় করতে পারে নাই রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সুন্দরগঞ্জ অফিস। বিদ্যুতের এই অসহনীয় লোড শেডিং এর কারনে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। গ্রামে গ্রামে মাইকিং এমনকি বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ের বুথ চালু করলেও বিল পরিশোধ করতে আসেনি গ্রাহকরা। 

বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট গ্রাহক ১ লাখ ২৩ হাজার। এর মধ্যে সেচ গ্রাহক ৩হাজার ও শিল্প গ্রাহক ৩০টি। বাকী গ্রাহকের ধরণ আবাসিক ও বাণিজ্যিক। সরকারি অফিস আদালত, শিল্প প্রতিষ্ঠান, প্রভাবশালী মহল মিলে প্রায় ৬ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। বাকীর তালিকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫ লাখ, তারাপুর ইউনিয়নের আশেক আলী ৩ লাখ ৩০ হাজার, মেহেদী রহমান ১ লাখ ১৯ হাজার, বেলকা ইউনিয়নের মোখলেছুর রহমান ১ লাখ ৮ হাজার, আলী বাবা থিম পার্ক ১ লাখ ২২ হাজার, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ১ লাখ ২০ হাজার, সর্বানন্দ গ্রামের রাসেল মিয়া ১ লাখ, খাদ্য গুদাম ৭৬ হাজার টাকা, আতিয়ার  রহমান ৫০ হাজার টাকা, আশরাফুল ইসলাম ৬০ টাকা বকেয়া রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবুল ফাত্তাহ জানান, বিদ্যুতের বকেয়া বিলের জন্য অধিদপ্তরের চাহিদা দেয়া হয়েছে। কিন্তু টাকা সরবরাহ না করায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। বহুবার বিল ছাড় করণের জন্য তাগাদা প্রদান করা হচ্ছে। অজ্ঞত কারনে বিদ্যুৎ বিলের টাকা পাওয়া যাচ্ছে না।

ডিজিএম আব্দুল বারী জানান, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ের জন্য গ্রামে গ্রামে মাইকিং এবং বুথ চালু করেও বিল আদায় করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান বিদ্যুতের যে অবস্থা তাতে করে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা বিপাকে রয়েছে। একজন গ্রাহকের খুব বেশি টাকা বকেয়া না। গ্রাহকদের স্বদিচ্ছার কারণে বিল সমুহ বকেয়া রয়েছে। অন্যান্য উপজেলার চেয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুতের লোড শেডিং অনেক কম।