- মাধুকর প্রতিনিধি
- ৬ ঘন্টা আগে
হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে কর্মচাঞ্চল্য বৃদ্ধি, রাজস্ব আয়েও উন্নতি
সুলতান মাহমুদ, দিনাজপুর►
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্দরে ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য। দীর্ঘদিন একপ্রকার নিস্তব্ধ থাকা এই বন্দরে এখন দিনভর ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিক, ট্রাকচালক ও ব্যবসায়ীরা।
পণ্য লোড-আনলোডের কাজ বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকদের আয়ও আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে, ফলে তাদের পারিবারিক জীবনেও এসেছে স্বচ্ছলতা।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অক্টোবর মাসের ১ তারিখ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ভারত থেকে ১৫৩টি ট্রাকে মোট ৪৭ হাজার ১৫৩ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এতে বাংলাদেশ সরকার ২৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে ৭০২টি ট্রাকে বিভিন্ন পণ্য ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ৬ লাখ ৯৪ হাজার ৪১৭ মার্কিন ডলার রাজস্ব অর্জন করেছে সরকার।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা যায়, বন্দরে শতাধিক ভারতীয় ও দেশীয় ট্রাক পণ্য খালাসে ব্যস্ত। বন্দরের ভেতরে ও বাইরে লোড-আনলোডের কাজে শত শত শ্রমিক কাজ করছেন। একসময় যেখানে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫টি ভারতীয় ট্রাক প্রবেশ করতো, বর্তমানে সেখানে প্রতিদিন ১৩০ থেকে ১৫০টি ট্রাক পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এতে বন্দরকেন্দ্রিক কর্মচাঞ্চল্যতা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।
বন্দরের শ্রমিক আব্দুল জলিল ও মোবারক হোসেন বলেন, আগে কাজ না থাকায় দিন পার করা কষ্টকর ছিল। এখন প্রতিদিন কাজের চাপে বিশ্রাম নেওয়ার সময়ই থাকে না। একজন শ্রমিক প্রতিদিন ৭০০ থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করছে।
শ্রমিক হাসমত আলী বলেন, এখন বন্দরজুড়ে প্রাণচাঞ্চল্য। প্রতিদিন শতাধিক ট্রাকের পণ্য লোড-আনলোডের কাজ আমরা করছি।
আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, “বর্তমানে চালসহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানি বেড়েছে। সরকারের অনুমোদনের ফলে ভারত থেকে চাল আমদানি করা যাচ্ছে, এতে বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, বিগত দিনে বন্দর কার্যত স্থবির ছিল। এখন নিয়মিত পণ্য আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে, শ্রমিকদের কাজের সুযোগ বেড়েছে, ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হচ্ছেন।
দিনাজপুর কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা জামান বাঁধন বলেন, “কিছুদিন আগেও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম প্রায় স্থবির ছিল, ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ও কমে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি-রপ্তানির ফলে রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বন্দরের কার্যক্রম পুরোপুরি সচল রয়েছে।